ফোনে প্রেমই হল কাল! অসমে জোর করে বৃদ্ধার সঙ্গে বিয়ে নাবালকের, তারপর কী হল জানেন কি
অসমে জোর করে বৃদ্ধার সঙ্গে বিয়ে হল নাবালকের। ছেলেটি স্কুল ড্রপআউট। আর মহিলা শুধু বয়স্কা নন, বিধবাও বটে।
ফোনে কথা। তারপরে প্রেমালাপ। মহিলার কণ্ঠ শুনে মনে প্রেমের জোয়ার এসেছিল নাবালক কিশোরের। বয়স মাত্র ১৫। তবে প্রেমের জোয়ারে ভেসে সে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায় মোবাইলের ওপারের মহিলা কণ্ঠীকে। টেলিফোনে রোমান্স এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সোজা হাজির হয়ে যায় প্রেয়সীকে দেখতে তাঁর বাড়িতে।
অসমের গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা কিশোর মাস খানেক আগে ভুল করে মহিলার নম্বর ডায়াল করে ফেলেছিল। গলা শুনে প্রেমে পড়ে যায়। তারপর চলতে থাকে দিন-রাত কথা। ঘুণাক্ষরেও সে বুঝতে পারেনি ওপারের মধুর কণ্ঠস্বরের প্রেয়সী সিনিয়র সিটিজেন।
কেউ কাউকে বয়স বলেনি। ছেলেটি স্কুল ড্রপআউট। আর মহিলা শুধু বয়স্কা নন, বিধবাও বটে। তাঁর টানেই কিশোর চলে আসে বরপেতা জেলার সুখুওয়াঝার গ্রামে। সেখানে এসে তাঁর উত্তেজনা কিছুক্ষণ পরে বদলে যায় আতঙ্কে। যখন সে জানতে পারে পাত্রীর আসল পরিচয়।
তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। মহিলার বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা জোর করে কাজি ডেকে দুজনের নিকাহ দিয়ে দেন। ঘটনায় মহিলার ও কিশোরের কারও সম্মতি ছিল না।
ঘটনার খবর পৌঁছেছে স্থানীয় শিশুর অধিকার রক্ষা কমিটির কাছে। তাঁরা জানিয়েছেন, কিশোর পাত্র নাবালক হলে যাঁরা জোর করে বিয়ে দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যদিও এখনও কোনও পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।