মেঘালয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন, জেনে নিন কী পরিস্থিতি সেখানে
মেঘালয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন, জেনে নি কী পরিস্থিতি সেখানে
টানা ৬ দিন ধরে অশান্ত ছিল অসম-মেঘালয় সীমানা। তার জেরে মেঘালয় সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অসম সরকার। এদিকে পর্যটনের মরশুমে অনেক পর্যটক মেঘালয় যেতে পারছিলেন না। তাঁরা আটকে ছিলেন অসমে। আবার যাঁরা মেঘালয়ে গিয়েছেন তাঁরা অসমে ফিরতে পারছিলেন না। চরম পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের কাটাতে হয়েছে। প্রায় ৬ দিন পর অবশেষে মেঘালয়ের রাস্তা খুলল অসম সরকার।
গত মঙ্গলবার গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছিল মেঘালয়-অসম সীমানায়। তাতে ৬ জন মারা গিয়েছিলেন। তারপরেই প্রবল অশান্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মেঘালয়ের সীমানা বন্ধ করে দেয় অসম সরকার। অসম এবং মেঘালয় সীমানায় এই অশান্তি গত কয়েক মাস ধরে দফায় দফায় ঘটে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে এসে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছেন। কিন্তু তার পরেও দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসম-মেঘালয় সীমানা। তারপরেই অসম সরকার মেঘালয়ের দিকে সব গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
অসম পুলিশের পক্ষ থেকেই রাজ্যে সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছিল আগামী কয়েকদিন যেন তাঁরা মেঘালয় সফর থেকে বিরত থাকেন। শনিবার ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। অসম থেকে মেঘালয় গামী কাঠের লরি আটকানো নিেয় দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সংঘাত বাধে। অসম পুলিশের গুলিতে মেঘালয়ের ৬ জন মারা যান। তারপরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
দফায় দফায় অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে এই অশান্তির ঘটনা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেিছলেন এই অশান্তি নিয়ে তাঁর কিছু করার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়ার পর আরও অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে । টানা ৬ দিন দফায় দফায় শান্তি আলোচনায় বসার পরেও সংকট কাটেনি। প্রায় ৬ দিন পরে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শান্ত হয়েছে। তার প্রায় ৬ দিন পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে। দুই রাজ্যের সীমানা ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে ফের অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ।
গুজরাতে বাড়ছে বন্ধনী শিল্পের চাহিদা, অন্ন সংস্থান করছে হাজার হাজার মানুষের