এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় সন্দেহ, সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে অসম সরকার
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েেছ শনিবার। ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ গিয়েছে সেই তালিকা থেকে। তারপরেও সন্তুষ্ট নয় অসম সরকার।
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েেছ শনিবার। ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ গিয়েছে সেই তালিকা থেকে। তারপরেও সন্তুষ্ট নয় অসম সরকার। তালিকায় গলদ রয়েছে দাবি করে পুনরায় বিবেচনার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তারা।
তালিকা পুনর্বিবেচনার দাবি হিমন্তের
এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেই অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেন। তিনি দাবি করতে শুরু করেছেন, সীমান্তবর্তী জেলা গুলির বাসিন্দাদের নথি পুণরায় খতিয়ে দেখা হোক। একাধিক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নাকি কারচুপি করে এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। সেকারণে তাঁদের জমা দেওয়া নথি পুণরায় যাচাই করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
হিমন্তের দাবি কোনওভাবেই বেআইনি অনুপ্রবেশকরীদের জায়গা দেওয়া যাবে না। তালিকা থেকে যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁদে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সেদেশর সরকারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছে। তাই তালিকা আরও নিখুঁত করতে অসম সরকার শীর্ষ আদালতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। অনেক অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যে তথ্যে কারচুপি করে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, সেটা চিহ্নিত করার জন্য শীর্ষ আদালতে তালিকা পুণরায় যাচাইয়ের আবেদন জানাবে অসম সরকার।
এনআরসি নিয়ে অভিযোগ
হিমন্ত দাবি করেছেন সীমান্তের জেলা গুলির বাসিন্দাদের নথি ১০ শতাংশ যাচাই করতে চলবে না। ২০ শতাংশ যাচাই করতে হবে। এনআরসি প্যানেল ১৯৭২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে দাঙ্গার সময় যাঁরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন সেই বাংলাদেশি বাঙালি হিন্দুদের শরণার্থী শংসাপত্র গ্রহন করেছে। এনআরসি এখনও ধর্মের ভিত্তিতে তালিকা প্রকাশ করেনি। আর এতেই হয়েছে কারচুপি।
তবে শুধু বিজেপি নয় অসমের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তালিকা থেকে বাদ পড়া বাসিন্দা অবশ্য ১২০ দিনের মধ্যে পুনরায় আবেদন জানাতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: নারদ মামলায় ইকবালের আবেদনের শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে]
[আরও পড়ুন: আদালতের অনুমতি ছাড়া ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ শুরু হবে না, জানাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ]