অসমে বন্যা সতর্কতা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে
অসমে বন্যা সতর্কতা, ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশে
করোনা সঙ্কটের মধ্যে অসমে আবার জারি করা হল বন্যা সতর্কতা। কেন্দ্রীয় জল কমিশন (সিডব্লুসি) এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে অসমের ব্রহ্মপুত্র নদীর জন্য জোরহাটের নিয়ামাটি ঘাট ও জিয়াভরালি ও সোনিতপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ মে থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সপ্তাহজুড়ে অসমের বেশ কিছু অংশে ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টি হয়েছে।
জোড়াহাট
প্রান্তরে
ব্রহ্মপুত্রের
সর্বোচ্চ
বন্যার
স্তরটি
৮৭.৩৭
মিটার
এবং
বর্তমান
স্তরটি
৮৫.৭৮
মিটারে
রয়েছে।
অন্যদিকে,
জিয়াভরালিতে
বন্যার
স্তরটি
৭৮.৫
মিটার,
বর্তমানে
যা
৭৭.৩৬
মিটারে
রয়েছে।
বারপেতার
বেকি,
তিনসুকিয়ার
লোহিত
ও
ডিব্রুগড়ে
ব্রহ্মপুত্র
প্রসারিত
এবং
তারলবহু
শাখা–প্রশাখা
স্বাভাবিক
বন্যার
স্তর
অতিক্রম
করে
গিয়েছে।
কেন্দ্রের জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান সাথী দেবী বলেন, 'জেলা–স্তরের বৃষ্টিপাতের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তবে মেঘালয়, আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশের কয়েকটি অংশে গত পাঁচ দিনে চরম ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা কমপক্ষে আরও তিন দিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় আর্দ্রতাযুক্ত বাতাস এই অঞ্চলে বইছে। এই বৃষ্টিপাত তৎক্ষণাত কমবে না।’ স্কাইমেট ওয়েদারের ভাইস–প্রেসিডেন্ট মহেশ পালাওয়াত বলেন, 'শেষ চারদিনে চেরাপুঞ্জিতে ১,১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা তথ্য সংগ্রহ করে চলব। যদি আগামী কয়েকদিনে বৃষ্টি না থামে তবে এ রাজ্যে আরও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে দু–তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টি হ্রাস পাবে। মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরাতেও শীঘ্রই ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এখনো বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন, রাস্তা অবরোধে আব্দুল মান্নান