অসমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, ৩ দিনে মৃত্যু ১৭ জনের, ক্ষতিগ্রস্ত কমপক্ষে ১৯ লক্ষ বাসিন্দা
অসমে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, ৩ দিনে মৃত্যু ১৭ জনের, ক্ষতিগ্রস্ত কমপক্ষে ১৯ লক্ষ বাসিন্দা
অসমে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। লাগাতার বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের জনজীবন। অসমের ২৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রায় ২৯৩০টি গ্রাম জলমগ্ন। জল ঢুকতে শুরু করেছে অন্যান্য জেলাতেও। ব্রহ্মপুত্র নদের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তিন দিনের প্রবল বর্ষণে ১৭ জন মারা গিয়েছেন অসমে।
বিপর্যস্ত অসম
বন্যায় বিপর্যস্ত অসম। বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করেছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। মৌসুমী বায়ু ভীষণভাবে সক্রিয় এখানে। তার জেরে গত কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে বর্ষণে বিপর্যস্ত অসম। ২৮ েজলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানে। ২৯৩০টি গ্রাম জলমগ্ন। আরও একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এক প্রকার আগ্রাসী রূপ নিয়েছে নদ। সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু
অসমে গত তিন দিনে প্রবল বর্ষণে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে অসমে। ধসে চাপা পড়ে ৩ জন মারা গিয়েছে। গত তিন দিনে অসমে কমপক্ষে ১৭ জন মারা গিয়েছেন। বিজলী, বক্সা, বরাপেটা, বিশ্বনাথ, বঙ্গাইগাঁও, চিরাঙ্গ, ধেমাজি, ধুবড়ি, ডিব্রুগড়, ডিমা-হাসো, গোয়ালপাড়া, হোডাই, কামরূপ,কার্বি আংলং পশ্চিম, কোকড়াঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মোরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা, তমুলপুর, তিনসুকিয়া, উডালগুড়ি জেলা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
১৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
অসমের ২৮টি জেলার ১৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যার কারণে। অসংখ্য মাণুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখনও বন্যা দুর্গত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। নলবাড়ি জেলা সবচেয়ে বেশিক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক হাজার বাড়ি ভেঙ গিয়েছে। ৩৭৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকাল ৬টা নাগাদ ফোন করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। রাজ্য সরকারকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকাজে সেনা
একাধিক জায়গায় উদ্ধারকাজে সেনা নামানো হয়েছে। ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অসমের শিলচরে সফর বিপজ্জন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ধসের কারণে সড়ক বিপজ্জনক আকার নিয়েছে সেখানে। অসমের সঙ্গে মেঘালয় এবং ত্রিপুরার যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। উত্তর পূর্বের অধিকাংশ রাজ্যের পরিস্থিতি বিপজ্জনক।