অসমে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, ঘর ছাড়া ৬২০০০ বাসিন্দা
পশ্চিমবঙ্গে বর্ষণের দেখা না মিললেও উত্তর পূর্বের রাজ্য অসমে প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিিত তৈরি হয়েছে। প্রবল বর্ষণে সব নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে।
পশ্চিমবঙ্গে বর্ষণের দেখা না মিললেও উত্তর পূর্বের রাজ্য অসমে প্রবল বর্ষণে বন্যা পরিস্থিিত তৈরি হয়েছে। প্রবল বর্ষণে সব নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। রাজ্যের আটজেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিয়েছে। প্রায় ৬২,০০০ মানুষ ঘর ছাড়া। ব্রহ্মপুত্র নদের জল জোরহাটের নিমতিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যেকোনও মুহূর্তে ছাপিয়ে যেতে পারে দুই পাড়। জোরহাট এবং গোলাঘাট জেলার অবস্থা সবচেয়ে সংকটজনক। দেমজি, লাখিমপুর, বিশ্বনাথ জেলাতেও বহু এলাকা প্লাবিত হয়ে গিেয়ছে। লাখিমপুর জোলায় রঙ্গোডি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলাধার থেকে জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে।
প্রবল বর্ষণে গুয়াহাটিতে ধস নেমে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু অসম নয় মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশের অবস্থাও সংকটজনক। ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে এই দুই রাজ্যেও। পরিস্থিতি এতোটাই উদ্বেগজনক েয প্রমাদ গুণছে দুই রাজ্য। যেকোনও মুহুর্তে বড় কোনও বিপর্যয় নেমে আসতে পাের। দুই রাজ্যে প্রবল বর্ষণ হলে ধস নামার প্রবণতা বাড়ে। তাই ধসের সতর্কতা জারি করেছে এই দুই রাজ্য সরকার।
গতবছর অসমে বন্যায় প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৪১ জনের। অন্যদিকে এবার প্রবল বর্ষণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রের। বাণিজ্য নগরী সহ গোটা মহারাষ্ট্রেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।