সভাপতি নির্বাচনে থারুরকে ভোট দেওয়া কংগ্রেস নেতারা বিজেপিতে যোগ দেবেন, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী
সভাপতি নির্বাচনে থারুরকে ভোট দেওয়া কংগ্রেস নেতারা বিজেপিতে যোগ দেবেন, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে যাঁরা শশী থারুরকে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, কংগ্রেসের ১,০৭২ প্রতিনিধি শশী থারুরকে ভোট দিয়েছেন। তাঁরাই দলের পুরাতন সদস্য বলেই তিনি মন্তব্য করেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন শশী থারুর।
কী বললেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কংগ্রেসের তথাকথিত সভাপতি নির্বাচন হওয়ার আগেই ফলাফল প্রকাশ পেয়েছিল এবং সেই ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রতীক বা কংগ্রেসের নির্বাচিত সভাপতি বলে মনে করেন না তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক প্রতিনিধি সেই ১,০০০ জন ছিলেন, যাঁরা শশী থারুককে ভোট দিয়েছিলেন। আমি মনে করি, যাঁরা শশী থারুরকে ভোট দেওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই বিজেপিতে যোগ দেবেন।
তীব্র প্রতিক্রিয়া শশী থারুরের
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান শশী থারুর। তিনি বলেন, যাঁরা সাহস দেখান, তাঁরা কখনই বিজেপিতে যোগদান করবেন না। শুধুমাত্র তাঁরাই বিজেপিতে যোগ দেন, যাঁদের লড়াই করার সাহস থাকে না। কংগ্রেস নেতা সলমন আনিস সোজ জানান, তিনি কখনই বিজেপিতে যোগদান করবেন না। তিনি শশী থারুরকে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে সমর্থন করেছিলেন। এছাড়াও কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
কংগ্রেসের তীব্র প্রতিক্রিয়া
টুইটারে কংগ্রেস নেতা সলমন আনিজ সোজ বলেন, আমি ১,০৭২ জনের মধ্যে একজন ছিলাম, যে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে শশী থারুরকে সমর্থন করেছিলাম। আমরা হেরে গেলেও দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র জিতেছে। বিজেপি যদি ভারতের একমাত্র রাজনৈতিক দল হতো, তাহলেও আমি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতাম না। তিনি মন্তব্য করেন, আমার জন্য বিজেপি গোঁড়া, কাপুরুষ ও সুবিধাভোগীদের জন্য। জয়রাম রমেশ টুইট করে লেখেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ভুল বকার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পবন খাড়গে বলেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেও, কংগ্রেসেই মন পড়ে রয়েছে।
২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি
অক্টোবরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হয়। সেখানে গান্ধী পরিবারের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করেননি। কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতা শশী থারুর ও মল্লিকার্জুন খাড়গে অংশগ্রহণ করেন। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খাড়গে জয়ী হয়। গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রকাশ্যে কাউকে সমর্থন করেননি। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মল্লিকার্জুন খাড়গেকে অভিনন্দন জানান সোনিয়া গান্ধী।