অসমে রেড কার্পেটে স্বাগত মমতা! 'বিভেদ' বাড়িয়ে খোঁচা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার
অসমে রেড কার্পেটে স্বাগত মমতা! কারণ জানিয়ে 'বিভেদ' বাড়ালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে (trinamool congress) অসমে স্বাগত। এদিন এমনটাই মন্তব্য করলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (himanta biswasharma)। তিনি বলেছেন, তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে সক্রিয়তা বাড়ালে তা কংগ্রেসের ভোটকে ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে। এদিন তিনি গিয়েছিলেন শিলিগুড়িতে।
যেখানেই যান, সেখানেই রাজনীতি
এদিন সংক্ষিপ্ত সফরে শিলিগুড়িতে গিয়েছিল অসমের মুখ্যমন্ত্রী। অসমের প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক অলক ঘোষের পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেখানেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, অসম এবং ত্রিপুরায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত। কেননা তা হলে বিজেপিই লাভবান হবে। তিনি (মমতা) যেখানেই যান রাজনীতি করেন। তিনি কংগ্রেস এবং অন্যদলের ভোট ভাগ করবেন আর সুবিধা করে দেবেন বিজেপিকে।
অসমে লাল কার্পেটে স্বাগত
যদি তিনি অসমে যান, তাহলে তাঁকে লাল কার্পেটে স্বাগত জানানো হবে বলেও মন্তব্য করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। দিন কয়েক আগে অসমের শিচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তিনি কি অসমে বিজেপির প্রতি কোনও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, তাঁর (সুস্মিতা) পরিচিতি কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তিনি কংগ্রেসের ভোটকেই ভাগ করবেন।
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দিদি ওখানে যাবেন আর মাকে প্রণাম কের বাংলায় চলে আসবেন। অসমে ওনার কী কাজ প্রশ্ন করেছেন তিনি।
বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে প্রক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে এবং পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে খুব কাছাকাছি। কিন্তু অসমে কারও বাড়িতে একটা ঢিল পর্যন্ত পড়েনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানেই বোঝা যায়, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কী।
অসমে এনআরসি নিয়ে প্রতিক্রিয়া
এনআরসি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে কেবলমাত্র ১২ জন বাঙালি হিন্দু রয়েছেন। তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও দাবি করেন, অসমে গোর্খাদের বিরুদ্ধে কোনও মামলা নেই। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইবুনালে যেসব মামলা রয়েছে, তা তুলে নেওয়া হবে। আদিবাসী এলাকায় গোর্খাদের সংরক্ষিত শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ৪ অগাস্ট অসম ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে গোর্খা সম্প্রদায়ের কাউকেই বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হবে না। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গোর্খারা। বলে রাখা ভাল দার্লিজিং জেলায় গোর্খারা রয়েছেন বড় সংখ্যায়।