করোনার ছোবলে নয়, অসমের কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত ব্রহ্মপুত্রের রোষানলে!
কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টির জেরে অসমের অধিকাংশ জেলাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত৷ বর্তমানে সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে৷ ইতিমধ্যে ব্রহ্মপুত্র সহ বেশিরভাগ নদীর জল বিপদসীমার উপরে বইছে৷ এদিকে কাছাড় জেলা দিয়ে প্রবাহিত বারাক নদীর জলস্তরও বেড়েছে৷ এখনও পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে৷
অসমের ২৪টি জেলা প্লাবিত
২৪টি জেলা প্লাবিত, কাজিরাঙার ৮৫ শতাংশ ডুবে গিয়েছে, শতাধিক মানুষ মরেছে ইতিমধ্যে। ৭০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। করোনার চেয়ে বন্যায় বেশি মানুষ বিপর্যস্ত অসমে। মারাও গিয়েছে বেশি। করোনায় এখনও পর্যন্ত সেরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৬২, আর বন্যায় মৃত শতাধিক। অসমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক, এদিকে করোনা আক্রান্ত সেই তুলনায় প্রায় নগন্য, ২৩ হাজার।
২ হাজার ৬৭৮টি গ্রাম জলের তলায়
হোজাই ও পশ্চিম করবি আংলং জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে । বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধুবরি। সেখানে প্রায় ৪.৬৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। গোয়ালপাড়াতে সংখ্যাটি ৪.৪৯ লক্ষ। মরিগাওঁ এবং বরপেটায় ৩.৫ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় ২ হাজার ৬৭৮টি গ্রাম জলের তলায়।
বন্যা কবলিত জেলাগুলি
অসমে বন্যা কবলিত জেলাগুলি হল ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, দারাং, বক্সা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, বনগাইগাওঁ, কোকরাঝাড়, ধুবরি, দক্ষিণ সালমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, কামরূপ মেট্রোপলিটন, মরিগাওঁ, নাগাওঁ, গোলাঘাট, জোরহাট, মাজুলি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, করবি আংলং, চাচার। ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৪০৪ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে?
২১টি জেলায় মোট ৬৪৯টি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪৭ হাজার ৪৬৫ জন এই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের চাল, ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের তরফে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় জলসম্পদ দফতরের তরফে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ এখনও কাছাড় জেলায় নদীর জল বাড়ার জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি৷ কিন্তু বৃষ্টি না কমলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷
বাঙালির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে পাঞ্জাবি-হরিয়ানভীদের হেয়! ফের বেঁফাস মন্তব্যে বিতর্কে বিপ্লব দেব