রাজস্থানে পাইলটের উড়ানেও অটুট গেহলট দুর্গ, মধ্যপ্রদেশের রিপিট টেলিকাস্ট আটকে গেল কোন ফ্যাক্টরে?
সচিন পাইলটের বিদ্রোহ অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছে কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলবদলকে। সেবারে কগ্রেসের ২২ জন বিধআয়ক নিয়ে পদ্ম শিবিরমুখী হয়েছিলেন সিন্ধিয়া। যার জেরে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটে। অশোক গেহলটের পরিস্থিতিও সেরমই হবে বলে মনে করেছিল অনেকে। তবে অশোক তৈরি ছিলেন।
তৈরি ছিলেন অশোক
গোরিলা যুদ্ধে শত্রুর তির কোন দিক থেকে ধএয়ে আসবে তা আগের থেকে জানা থাকলে জয় নিশ্চিত। আর অশওক গেহলট ঠিক সেই কাজটা করেই নিজের মসনদ বাঁচিয়েছেন। কমলনাথের মতো অপ্রস্তুত না থেকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকে থএকেছএন অতিশক্রিয়।
পাইলট গেহলোটকে অস্বস্তিতে ফেললেও চিড় ধরেনি কংগ্রেসের দুর্গে
শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, দলের ১০৭ বিধায়কই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। প্রত্যেকেই গেহলটের বাড়িতে ডাকা জরুরি বৈঠকে সোমবার যোগ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবারের দ্বিতীয় দফা বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন সবাই। তাঁদের নিয়েই বর্ষীয়ান রাজনীতিবদ বোঝালেন, উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট রাজ্য সরকারকে অস্বস্তিতে ফেললেও তাতে চিড় ধরেনি কংগ্রেসের দুর্গে।
শক্তি প্রদির্শনের খেলা
এদিকে কংগ্রেসের নামে বিধায়কদলের বৈঠক হলেও আদতে এই দুইটি বৈঠকই ছিল গেহলট অনুগামীদের বৈঠক৷ নিজের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য এই বৈঠকের আহ্বান করেছিলেন অশোক গেহলট৷ কমলনাথ যা করতে পারেননি তা বীরদর্পে করে দেখিয়েছএন অশোক। বৈঠক শেষে দাবি করা হয়, বিধায়করা একজোট রয়েছেন৷ ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে সরকারের প্রতি৷ কিন্তু এর ঘণ্টাখানেক পরই পাইলট অনুগামীদের একটি ভিডিও সামনে আসে৷
রাজস্থানের ক্ষমতায় কে!
অশোক গেহলট শিবির মুখে সংখ্যা গরিষ্ঠতার দাবি করলেও বিধায়কদের একজোট রাখতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে গেহলটের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে এক আঞ্চলিক দল। তাদের দুই বিধায়ক নাকি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসর উপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন৷ তবে সচিনের কাছে হার না মেনে মঙ্গলবার তাঁকে পাল্টা শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে অশোক বোঝাতে চেয়েছেন দলের রাশ এখন পুরোপুরি তাঁর হাতে।
রাজনৈতিক ভাবে বেশ কোণঠাসা সচিন
সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর মধ্যস্থতায় গেহলট ও পাইলটের দূরত্ব কমবে বলে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন৷ কিন্তু সেই সম্ভাবনাতেও গতকাল কার্যত জল ঢেলে দেন পাইলট৷ সাফ জানিয়ে দেন, রাহুল গান্ধির সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই দেখা করবেন না৷ তাহলে কি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পথ ধরেই নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন সচিন পাইলট? সেই প্রশ্নটাই ঘোরাফেরা করছে রাজস্থানের রাজনীতিতে। আর এখানেই বাজিমাত করেছেন অশোক। এসওজি নিয়োগ করে প্রথমেই সচিনকে চুপিসারে আক্রমণ থেকে বিরত রেখে তাঁকে দলবিরোধী প্রমাণ করতে সফল হয়েছেন। আর এর জেরে রাজনৈতিক ভাবে এখন বেশ কোণঠাসা সচিন।
করোনা মোকাবিলায় মোদী সরকারের সমালোচনা, এক সপ্তাহেই দেশ ১০ লক্ষে পৌঁছাবে টুইট রাহুল গান্ধীর