সরকার বাঁচাতে নয়া আস্তানায় লোকাচ্ছেন গেহলট! পাইলটের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রস্তুতি কংগ্রেসের
সরকার বাঁচাতে নয়া আস্তানায় লোকাচ্ছেন গেহলট! পাইলটের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রস্তুতি কংগ্রেসের
অশোক গেহলটকে সমর্থন জানানো সব বিধায়কদের ঠিকানা ফের বদল হতে চলেছে। জানা গিয়েছে এদিনই জয়ফুরের হোটেল ছেড়ে জয়সলমেরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কংগ্রেস বিধায়করা। ১৪ তারিখ অধিবেশন শুরু আগে পর্যন্ত শেখানেই থাকবেন তাঁরা। মোট কথা, সরকার বাঁচাতে এখপ্রকারে বিধায়কদের আগলে রেখেছেন গেহলট। রীতিমতো ভ্রমণে বেরিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
জয়সলমেরে যেতে প্রস্তুত কংগ্রেস বিধায়করা
জানা গিয়েছে সব বিধায়কদেরই আগের থেকে তাদের পরিচয়পত্র নিজের সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে হোটেল বদলের জন্যেই এই কথা বলা হয়েছে বিধায়কদের। ম্যারিয়ট বা সূর্যগড় হোটেলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে কংগ্রেস বিধায়কদের। এদিকে কংগ্রেস বিধায়কদের জয়সলমের নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩টি চার্টার প্লেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে খবর। এরই মধ্যে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়কদের কিনতে চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গেহলট।
রাজস্থানের অধিবেশন ডাকা নিয়ে নাটক
এদিকে বুধবার রাতে অবশেষে রাজস্থানে অধিবেশন বসার সম্মতি মেলে। ১৪ অগাস্ট থেকে রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন শুরু করতে সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। বুধবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যপালের দপ্তর৷ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪ অগাস্ট থেকে বিধানসভার পঞ্চম অধিবেশন শুরুতে সায় দিয়েছেন রাজ্যপাল৷ তবে করোনা পরিস্থিতিতে বিধানসভায় সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
জরুরি ভিত্তিতে অধিবেশন ডাকার প্রস্তাব খারিজ হয়
এর আগে জরুরি ভিত্তিতে অধিবেশন ডাকার যে প্রস্তাব গেহলট করেছিলেন, তা নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে রাজ্যপালি জানিয়ে দিয়েছিলেন যদি আস্থা ভোটের জন্য এই অধিবেশন ডাকা হয় তবে তা ৩১ জুলাই বসবে না হলে তার জন্য ২১ দিনের নোটিশ দিতে হবে। এতে জোর ধাক্কা খায় কংগ্রেস। এরপরই বারবার এনিয়ে প্রস্তাব পাঠানো ও প্রত্যাখ্যানের পালা চলে রাজস্থানে।
পাইলটের বিরুদ্ধে গেহলটদের আদালতে হার
কয়েকদিন আগেই সচিন পাইলট ও ১৮ জন কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে নোটিস পাঠিয়েছিলেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার। স্পিকারের সেই নোটিসের বিরোধিতা করে রাজস্থান হাইকোর্টে যান প্রাক্তন সচিন পাইলট ও ১৮ জন বিধায়ক। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যান অধ্যক্ষ। তাঁর বক্তব্য, বিধানসভার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না হাইকোর্ট। অবশ্য স্পিাকারের আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সিদ্ধান্ত জানাতে পারবে রাজস্থান হাইকোর্ট। সেই মতো হাইকোর্টেই এই মামলার শুনানি শুরু হয়। আর তাতে জয় হয় সচিনের।
পাইলটের বিরুদ্ধে গেহলটের শেষ চাল
এরপরই সচিনকে দল থেকে সরানোর লক্ষ্যে বিধানসভা অধিবেশন ডাকার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন অশোক গেহলট। কারণ সেখানে আস্থা ভোট হলে হুইপের নির্দেশে পাইলট পন্ধীদের অশোক গেহলটকেই ভোট দিতে হবে। আর তা না করলে বা ভাটোভুটি থেকে অনুপস্থিত থাকলে দলবিরোধী কাজের দায়ে তাঁদের বহিষ্কার করার ক্ষমতা থাকবে স্পিকারের হাতে।