গণতন্ত্রের উলঙ্গ নাচ চলছে, সিন্ধিয়া বিদায় নিয়ে ফের বিজেপিকে তোপ 'ভীত' গেহলটের!
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেসের হাত ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। আর এতেই কেপে গিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস থেকে সিন্ধিয়ার ইস্তফার পরই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক। পরে ইস্তফা দেন আরও বেশ কয়েকজন। মোট ২২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে দেন। এদের সকলেরই পরবর্তী গন্তব্য বিজেপি। এরপরই রাজস্থানের কংগ্রেস সরকারেরও কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা যায়।
রাজ্যসভার টিকিট নিশ্চিত হতেই দলবদল সিন্ধিয়ার!
জানা যাচ্ছে বিজেপির থেকে রাজ্যসভার টিকিট নিশ্চিত হতেই এই দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন সিন্ধিয়া। এরপর আজ তিনি বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। পাশাপাশি জুটতে পারে মন্ত্রিত্ব। এই ইস্তফার হিড়িকে কমলাথের সরকারের পতন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কমল নাথ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরাও আছেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত কমল নাথ সরকারের সঙ্গে ১২০ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। সেখানে বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১০৭। সরকার গড়তে দরকার ১১৫-জন বিধায়কের সমর্থন। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করা ২২ জন বিজেপিতে যোগ দিলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কমল নাথের সরকার। পাশাপাশি একধাক্কায় সরকার গড়ার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে যাবে বিজেপি।
জয়পুরে কমলনাথের বিধায়করা!
এই পরিস্থিতি বিধায়কদের জয়পুরে পাঠিয়ে দিয়েছে কমলনাথ সরাকর। রাজনৈতিক নাটকীয়তা চরমে পৌঁছাতেই ভোপালে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের বাসভবনে দলে ৯০ জন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে উপরস্থিত ছিলেন কমলনাথ সরকারকে সমর্থনকারী দুই নির্দল বিধায়ককও। তারপরেই দুই নির্দল বিধায়ক সহ ৯০ জন কংগ্রেস বিধায়ককে রাজস্থানের জয়পুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
'গণতন্ত্রের উলঙ্গ নাচ চলছে'
এই বিধায়কদের স্বাগত জানাতেই বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, 'সবাই দেখতে পারছেন যে কী ভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। বিধআয়করা জয়পুরে আসছেন। এতেই স্পষ্ট যে কী ভাবে বিধায়ক কেনা বেচার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। এরকম উলঙ্গ নাচ এর আগে কখনও দেখা যায়নি। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। তবে আমরা এক সঙ্গে দাঁডিয়ে থাকব।'
'মানুষ সিন্ধিয়াকে শিক্ষা দেবে'
এরপর সিন্ধিয়ার প্রতিও বিষোদগার প্রকাশ করেন গেহলোট। বলেন, 'জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো সুবিধাবাদী নেতাদের আরও আগে দল ছাড়া উচিৎ ছিল। কংগ্রেস এই নেতাকে ১৮ বছর সময় দিয়ে অনেক বড় ভুল করেছে। এই ব্যক্তি সুযোগ পেতেই নিজের মুখোশ খুলে বেরিয়ে এলেন। মানুষ ওকে উচিৎ শিক্ষা দেবে।'
অপারেশনের কমলের ভয়ে অশোক
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের দলীয় কোন্দলের যে ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে তা রয়েছে রাজস্থানেও। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো রাজস্থানের তরুণ তুর্কী সচিন পাইলটও বেশ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকে নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্থানকে ধীরে ধীরে পাখির চোখ করে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। সূত্রের দাবি,রাজস্থানে এবার প্রায় ৩ ডজন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে দেখা করে ফেলল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নিজের সরকার বাঁচাতেও তৎপরতা শুরু করেছেন গেহলোট।