পাইলট নাকি গেহলট! রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত
রাজস্থানে ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করলেও এখনও কংগ্রেসের তরফে এটা পরিষ্কার হল না যে কে পরবর্তী সময়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
রাজস্থানে ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতে শুরু করলেও এখনও কংগ্রেসের তরফে এটা পরিষ্কার হল না যে কে পরবর্তী সময়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। ফলে ফের অন্তর্দ্বন্দ্ব শতাব্দীপ্রাচীন দলের রাজস্থান ইউনিটে ধাক্কা দিল কিনা সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
একদিকে সচিন পাইলট ও অন্যদিকে অশোক গেহলট সরকার গঠন নিয়ে নিজেদের মতো করে বক্তব্য রাখছেন। তবে দুজনেই জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন তা দল ঠিক করবে। অর্থাৎ দলের দ্বন্দ্ব দূর করতে পারে একমাত্র কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
অতীতে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে রাজস্থানে কংগ্রেসের সংগঠন দুর্বল হয়ে যায়। সেখানে থেকে দলকে টেনে তুলেছেন সচিন পাইলট। দলের প্রদেশ সভাপতি হিসাবে গত কয়েকবছরে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ও বিজেপির বিরুদ্ধাচরণে তিনি পয়লা নম্বরে থেকেছেন। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী দলে রয়েছেন। তিনি অশোক গেহলট।
গেহলট এর আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। তাঁকে সরিয়েই ক্ষমতায় ফেরেন বসুন্ধরা। গেহলট শুধু রাজস্থান নয়, কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও বরাবর সক্রিয়। ফলে একদিকে তাঁকে উপেক্ষা করা যায় না।
[আরও পড়ুুন: 'কংগ্রেস মুক্ত ভারত' এর স্বপ্ন বিফলে, উল্টে মান বাঁচানোর লড়াইয়ে বিজেপি ]
অন্যদিকে রয়েছেন রাহুল গান্ধীর দলের নতুন নেতাদের মধ্যে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র সচিন পাইলট। রাজেশ পাইলটের পুত্র রাজ্য রাজনীতিতে দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। রাজস্থানে দলের যে ইউ টার্ন হয়েছে সেখানে সচিনের হাত সবচেয়ে বেশি। দলরে ঢেলে সাজানোর কাজ করেছেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে সংগঠিত আক্রমণ গড়ে তুলেছেন।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস মুক্ত হল উত্তর-পূর্ব ভারত, শেষ দুর্গ মিজোরামও খোয়াল রাহুলের দল ]
রাজস্থানে প্রচারের সময়ও সচিন ভক্তরা একদিকে ও অন্যদিকে গেহলট ভক্তরা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে প্রোজেক্ট করে প্রচার করেছে। ফলে দলে দ্বন্দ্ব নেই তা কংগ্রেস বলতে পারবে না। চোরাস্রোত নির্বাচনের আগে থেকেই বসছে। এমনকী দলের নেতা-কর্মীরাও দুই দলে বিভক্ত হয়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে কে হবেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী! কী বলছেন সচিন-গেহলটরা]