রাজস্থানে পুরোহিতকে জীবন্ত পোড়ানোর ঘটনায় চাপে গেহলট সরকার, দাবিতে অনড় পরিবার
জমি বিবাদের জের। আর তা থেকেই পুরোহিতকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর থেকে ১৭৭ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের কারাউলি জেলার ঘটনা। মৃতের নাম বাবুলাল বৈষ্ণব। আর এবার মৃতের পরিবারের দাবি, রাজ্য সরকারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ সহ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এরপরই মৃতের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। পরিবারটি এখনও মৃতের দেহ আগলে পড়ে রয়েছে বলে খবর।
পুরোহিতের প্রায় তেরো বিঘা জমি ছিল
জানা গিয়েছে, ওই পুরোহিতের প্রায় তেরো বিঘা (প্রায় ৫.২ একর) জমি ছিল যা কারাউলি জেলারই একটি গ্রামে রাধা কৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে জমিটি প্রধান পুরোহিতকে দেওয়া হয়েছিল। এই ধরনের জমিগুলি, যা মন্দির ট্রাস্টের অন্তর্ভুক্ত, সাধারণত কেয়ারটেকার পুরোহিতদের তাঁদের পুজা করার জন্য এবং গ্রামের মন্দিরগুলিতে অনুষ্ঠান করার পরিবর্তে এই মন্দির তাঁদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। এই জাতীয় জমিগুলিকে 'মন্দির মাফি' বলা হয়। যা রাজস্থানে গ্রামের মন্দিরের কেয়ারটেকার পুরোহিতদের আয়ের একটি অন্যতম প্রধান উৎস।
স্থানীয় মীনা সম্প্রদায়ের উপর অভিযোগ
জানা গিয়েছে, মন্দির ট্রাস্টের অধীনে থাকা জমিতে নিজের জন্য ঘর তৈরির পরিকল্পনা করায় স্থানীয় মীনা সম্প্রদায়ের কিছু মানুষের সঙ্গে বাবুলালের বিবাদ চলছিল। প্রভাবশালী মীনা সম্প্রদায়ের আরও একটি দল এই বিষয়ে আপত্তি জানায় এবং জমিটিকে তাদের নিজের বলে দাবি করে।
বিরোধের সূত্রপাত
এই বিরোধ নিয়ে পুরোহিতের পক্ষে রায় দেয় গ্রামের প্রবীণরা। রায়ের পর পুরোহিত তাঁর জমিতে নতুন হওয়া বাজরা বস্তায় ভরে সেখানে রেখে দেন। কিন্তু, অভিযুক্তরা পুরোহিতের অংশের জমিতেই নিজেদের কুঁড়েঘর তৈরি করা শুরু করে বলে অভিযোগ। যা থেকেই পুনরায় বিরোধের সূত্রপাত।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে পুরোহিতের বয়ান রেকর্ড করা হয়। যেখানে তিনি বলেছেন, ছয় জন তাঁর বাজরার বস্তাগুলিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাঁর অভিযোগ, তাঁর গায়েও আগুন দেয় ওই ছয় দুষ্কৃতী। বুধবারের ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরের সোয়াই মান সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পুরোহিতকে, যেখানে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়।
হত্যার মামলা দায়ের
সিনিয়র পুলিশ অফিসার হারজিলাল যাদব বলেন, 'আমরা হত্যার মামলা দায়ের করেছি। আমরা প্রধান অভিযুক্ত কাইলসাহ মীনাকেও হেপাজতে নিয়েছি।' পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে পুরোহিত কৈলাশ, শঙ্কর, নমো মীনা এবং আরও তিনজনের নাম বলেছিলেন।
লাদাখ সীমান্তে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন চিনের, বেজিংয়ের গোপন অভিসন্ধির পর্দা ফাঁস