রাহুলের অ্যাসেট-মন্তব্যে মিললেন গেহলট ও পাইলট! রাজস্থান কংগ্রেসে হঠাৎ বসন্ত
রাহুলের অ্যাসেট-মন্তব্যে মিললেন গেহলট ও পাইলট! রাজস্থান কংগ্রেসে হঠাৎ বসন্ত
রাজস্থানে কংগ্রেসে হঠাৎ বসন্তের আগমন। এতদিন গৃহবিবাদে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হচ্ছিলেন অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট। রাহুল গান্ধীর একটা মন্তব্যই তাঁদেরকে ফের একাসনে নিয়ে এল। ফের একসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে 'সন্ধিস্থাপন' করলেন রাজস্থান কংগ্রেসের দুই 'অ্যাসেট' গেহলট ও পাইলট।
কংগ্রেস মরু-রাজ্যে গেহলট বনাম পাইলট দ্বন্দ্বে ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছিল ক্রমশ। কিন্তু ভারত জোড়ো যাত্রায় রাজস্থান পৌঁছনোর আগে হঠাৎই বসন্তেন আগমন ঘটল মরু রাজ্যে। এই অকাল বসন্তের নেপথ্যে রাহুল গান্ধীর একটা মাস্টারস্ট্রোক। ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি শুনিয়েছিলেন তাঁর বিশ্বাসের কথা, তিনি আশাবাদী বলে একটা মন্তব্য করেছিলেন। সই মন্তব্যই কংগ্রেসকে ফের আলোয় টেনে তুলল রাজস্থানে।
রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, রাজস্থানে নেতৃত্বের সংকট তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রাকে কোনওরূপ প্রভাবিত করবে না। অশেক গেহলট ও শচীন পাইলট উভয়েই দলের সম্পদ। তিনি বলেব, অশোক গেহলট ও শচীন পাইলটের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সংঘাত রয়েছে। তা কখনই কংগ্রেসের যাত্রাকে প্রভাবিত করবে না। উভয়েই কংগ্রেস-অন্ত প্রাণ। কংগ্রেসের ক্ষতি হোক এমন কাজ তাঁরা করবেন না। কংগ্রেসের জন্য তাঁরা এক হয়ে কাজ করবেন, এটা তাঁর বিশ্বাস।
সেই বিশ্বাসের বার্তা পেয়ে অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট আবার একসঙ্গে আবির্ভূত হলেন। এক ফ্রেমে ধরা দিলেন বহুদিন পর। অশোক গেহলট কয়েদিন আগেই শচীন পাইলটকে 'গদ্দার' বলে সম্বোধন করেছিল। কিন্তু সেই বিদ্বেষ এক লহমায় দূর হয়ে গেল। অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট ফের বিরোধ ভুলে রাজস্থান কংগ্রেসের দুই স্তম্ভ হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন।
অশোক গেহলট বলেন, রাহুল গান্ধী যখন বলছেন, যে আমাদের নেতারা সম্পদ, তখন আমরা সম্পদ। তাহলে বিরোধী কোথায়? কোথাও বিরোধ নেই। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে বুঝিয়ে দিলেন কোনও বিরোধ নেই। তাঁরা কংগ্রেসের সম্পদ থাকতেই বশি পছন্দ করেন।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা শীঘ্রই পৌঁছবে রাজস্থানে। তার আগে কংগ্রেসের ফের মৃদুমন্দ হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, তিনি এক বছর আগে এই পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু মহামারীর কারণে তা কার্যকর করে উঠতে পারেনি। তবে এটাই ভারত পরিক্রমা বা ভারত জোড়ো যাত্রা করার সেরা সময়। তিনি বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা সমগ্র জাতির আওয়াজ তুলছে। সমগ্র জাতিকে এক সূত্রে বাঁধতেই এই ভারত জোড়ো যাত্রার উদ্যোগ।