গেহলট দ্বৈরথের মুখে মাত দিয়েছেন একের পর এক নেতাকে, কিন্তু এবার সামনে শচীন
গেহলট দ্বৈরথের মুখে মাত দিয়েছেন একের পর এক নেতাকে, কিন্তু এবার সামনে শচীন
রাজস্থানে অশোক গেহলট যখনই দ্বৈরথের মুখে পড়েছেন, তখনই কোনও অজানা শক্তিতে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। একের পর এক তাবড় নেতা তাঁর চালে মাত হয়ে গিয়েছে। এবার কি শচীন পাইলটেরও সেই একই অবস্থা হবে। তিনি কি এবারও অশোক গেহলটের ক্ষুরধার মস্তিষ্কে মাত হবেন, নাকি এবার খেলা ঘোরাতে পারবেন শচীন?
কংগ্রেসি-দ্বৈরথ শুরু হয়েছে রাজস্থানে
গত শতাব্দীর নয়ের দশক থেকে শুরু। ১৯৯৮ সালে রাজেশ পাইলটকে মাত দিয়ে রাজস্থানের কুর্সিতে বসেছিলেন অশোক গেহলট। তারপর সিপি জোশীর মতো হেভিওয়েটও তাঁর চালে মাত হয়ে যান। ২০০৮ সালে সিপি জোশীর চ্যালেঞ্জ সামলে কুর্সি দখলের পর ২০১৮-য় তিনি বাজি জিতেছিলেন শচীন পাইলটের মতো জনপ্রিয় তরুণ তুর্কি নেতার বিরুদ্ধেও। এই মেয়াদের শেষে ফের সেই দ্বৈরথ শুরু হয়েছে রাজস্থানে। এবার কী হবে, তার দিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনীতি।
শচীন পাইলটকে রুখতে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন অশোক
যখনই রাজনৈতিক জীবনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে সামনে পেয়েছেন প্রতিবারই নিজের জয় সুনিশ্চিত করেছেন অদ্ভুত দক্ষতায়। রাজেশ পাইলট, সিপি জোশী, হালে শচীন পাইলট- কেউ 'থ' পায়নি তাঁর রাজনৈতিক গভীরতার কাছে। প্রতিবারই তাঁর পথে যে বাধার সৃষ্টি করেছে, তাকে খর্ব করে তিনি শেষ হাসি হেসেছেন। এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রী ছেড়ে কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে শামিল হতেই রাজস্থানের কুর্সি নিয়ে তৈরি হয়েছে অদ্ভুত এক জটিলতা। সেখানেই শচীন পাইলটকে রুখতে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন তিনি। তিনি চাইছেন তাঁর শিবিরের কাউকে রাজস্থানের কুর্সিতে বাকি ক-দিনের জন্য বসাতে।
সিপি জোশীকে ঢাল করেছেন অশোক গেহলট
অতীতে অশোক গেহলটের সামনে যখন বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছেন রাজেশ পাইলট, সিপি যোশীরা, তখন একে একে সেই বাধা অতিক্রম করে গিয়েছেন অশোক গেহলট। ১৯৯৮ সালে রাজেশ পাইলটকে রুখে দিয়েছিলেন গেহলট। নিজে বসেছিলেন রাজস্থানের কুর্সিতে। আর ২০০৮ সালে সিপি যোশীকে সরিয়ে তিনিই কিং হয়েছিলেন। এবার সেই সিপি জোশীকে ঢাল করে শচীন পাইলটকে রুখতে চাইছেন গেহলট।
শচীনের যাত্রভঙ্গ করতেই উদ্যোগ গেহলটের
২০০৮ সালে গেহলট ও জোশীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শচীন পাইলটের উত্থান তাঁদেরকে ফের কাছাকাছি এনে দিয়েছে। এখন গেহলট যখন রাজস্থানের কুর্সি ছাড়তে চলেছেন, তখন শচীন যাতে তা দখল করতে না পারেন, তার জন্য একদা 'প্রতিদ্বন্দ্বী' বর্তমান মিত্র সিপি জোশীকে এগিয়ে দিচ্ছেন তিনি। শচীনের যাত্রভঙ্গ করতেই তাঁর এমন উদ্যোগ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা
‘বিদায়’ লগ্নে কি মাত দিতে পারবেন জনপ্রিয় শচীনকে
অশোক গেহলটের কাছে 'হেরে'ই রাজেশ পাইলট রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন। সোনিয়া গান্ধীর সমর্থনও তখন গেহলটের দিকে গেলে রাজেশ কংগ্রেসের সাইডলাইনে চলে যান। পর পর তিন হেভিওয়েট নেতাকে সামলে রাজস্থানের কুর্সি তাঁর নিজের দখলে রেখেছিলেন। এখন দেখার তাঁর 'বিদায়' লগ্নে তিনি মাত দিতে পারেন কি না অন্যতম জনপ্রিয় শচীন পাইলটকে। রাজস্থানের কুর্সিতে শেষপর্যন্ত কে বসেন।
২০২৪-এ বিজেপিকে মাত দিতে কংগ্রেসই বাজি! সোনিয়ার সঙ্গে লালু-নীতীশের সাক্ষাতে জল্পনা