'লজ্জায় মাথা নত', জেএনইউ কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে টুইট দিল্লি পুলিশের আইনজীবীর
'লজ্জায় মাথা নত', জেএনইউ কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা প্রসঙ্গে টুইট দিল্লি পুলিশের আইনজীবীর
জেএনইউতে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন দিল্লি পুলিশের হয়ে আইনি লড়াইয়ের দায়িত্বে থাকা আইনজীবী রাহুল মেহরা। রবিবারের ঘটনায় পুলিশে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি বলেন, 'লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে গিয়েছে।'
|
দিল্লি পুলিশের আইনজীবীর টুইট
রাহুল মেহরা টুইট করে বলেন, 'আমি দিল্লি পুলিশের আইনজীবী। তাদের হয়ে আইনি লড়াইয়ের দায়িত্বে আমি। কিন্তু আজ লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে গিয়েছে। আমি ভিডিও দেখে হতবাক যে কী ভাবে দুষ্কৃতীরা নির্বাচারে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ডুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। সেখানে সাধারণ ছাত্রদের উপর তারা যেভাবে আক্রমণ চালিয়েছে তা নক্কারজনক। কিন্তু এই সময় আমাদের পুলিশ কোথায় ছিল?'
|
নাম না করে এবিভিপিকে দোষারোপ
এরপর তিনি আরও বলেন, 'এরপরও যদি পুলিশের মনে দ্বিধা থাকে যে এই তাণ্ডব কে চালিয়েছে তাহলে তাদের জখম ছাত্রদের তালিকাটা দেখা উচিত। তাহলে পুলিশের পক্ষে সহজ হবে খোঁজা যে এই হামলা কে চালিয়েছিল! এবিভিপি না কি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে।'
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র ও আক্রান্ত শিক্ষকদের অভিযোগর তির আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের দিকে। এদিকে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
https://publish.twitter.com/?query=https%3A%2F%2Ftwitter.com%2FANI%2Fstatus%2F1213892366014091264&widget=Tweet |
কী কারণে ঘটনাটি ঘটল!
হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি সরব হয়েছিল জেএনইউ। সেই রেশেই রবিবার সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেন জেএনইউএর টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেখানেই শুরু হয় অতর্কিত হামলা। ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে ডাকা হলে ক্যাম্পাসে আসে প্রায় ৭০০ পুলিশকর্মী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাড়ে সাতটা নাগাদ। যদিও তাণ্ডব তখনও চলছে। অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সামনে অ্যাম্বুলেন্স ভাঙা হলেও পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। শুধু মাঝে মাঝে একজন দুজনকে পুলিশ আটকাচ্ছিল। তবে তারা কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।
https://publish.twitter.com/?query=https%3A%2F%2Ftwitter.com%2FANI%2Fstatus%2F1213896479011561473&widget=Tweet |
রাজধানীতে এরকম ঘটনা ঘটে কী করে?
প্রশ্ন উঠেছে রাজধানীর বুকে দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই তাণ্ডব চলার সময় পুলিশ কী করছিল? আক্রান্ত ছাত্র ও শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে এলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। হামলা চালানোর পর বহিরাগতরা ক্যাম্পাস ছেড়ে নিশ্চিন্তে বেরিয়ে যায় বলেও অভিযোগ। এবং তাতে পুলিশের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে।
|
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অভিযোগ, হামলাকারীরা স্লোগান তুলে বলছিল, 'না মাওবাদ, না নক্সালবাদ। সবার উপরে রাষ্ট্রবাদ!' এমন কী হামলার সময়ে রাস্তার সব আলো বন্ধ ছিল বলেও জানা গিয়েছে। এসব চলতে থাকার পর শেষ পর্যন্ত ১১টা নাগাদ ফের রাস্তার আলো জ্বেলে দেওয়া হয়। পুলিশ জেএনইউ-র গেটের বাইরে অবস্থান নেয়। তবে ততক্ষণে যা তাণ্ডব চালানোর তা হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ভূমিকার সমালোচনায় ছাত্ররা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে।