প্রজাতন্ত্র দিবসে এই বছর প্রধান অতিথির আসনে কারা বসতে চলেছেন জানেন
পশ্চিমী বিদেশ নীতিকে আরও বেশি পোক্ত করতে এবার নয়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত।
দেশের বিদেশ নীতিকে আরও বেশি পোক্ত করতে এবার নয়া কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। রাজধানী দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সময় প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ১০ টি আসিয়ান দেশগুলির প্রধানদের। এছাড়াও সার্ক -ভুক্ত কয়েকটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই আমন্ত্রিতদের তালিকায়। আমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকছেন থাইল্যান্ড , ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া , ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার,কম্বোডিয়া, লাওসের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
[আরও পড়ুন:দিল্লিতে সেনা মহড়ায় দুর্ঘটনা, আহত ৩ জওয়ান]
এই অমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আসিয়ান দেশগুলি তাদের প্রতিনিধিদের এদেশে পাঠিয়েছে। আমন্ত্রকিতদের তালিকায় মায়ানমারের প্রধানমন্ত্রী আন সাং সুকি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, কম্বোডিয়ার প্রাইমমিনিস্টার হুন সেন সমেত ১০ জন রাষ্ট্রপ্রধান আমন্ত্রিত। এছাড়াও এই প্রতিনিধিদের সমাবেশের ফলে ভারত ও আসিয়ান দেশগুলির মধ্যে ২৫ বছরপূর্তীও পালিত হচ্ছে। ফলে মনে করা যেতে পারে , ভারতের সঙ্গে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলির সম্পর্ককে আরও একধাপ বাড়াতেই এই উদ্যোগ। এই উপলক্ষ্যে জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখ ভারত-আসিয়ান দেশগুলির সামিট আয়োজিত হতে চলেছে। এই সামিট উপলক্ষ্যে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। যে অনুষ্ঠানে মঞ্চে প্রদর্শিত হবে আসিয়ানের ১০ টি দেশের নাচের দলের পারফরম্যান্স। শোনা যাচ্ছে, রামায়ণ নির্ভর কোনও বিষয় এখানে প্রদর্শিত হতে চলেছে।
এই সামিটের আসল উদ্দেশ্য হল জঙ্গি দমন। এমনই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের সচিব প্রীতি সরন। কূটনৈতিক সমঝোতায় কীভাবে আসিয়ান প্রধানদের সঙ্গে সম্পর্কআরও বাড়ানো যায় সেবিষয়েও এই সামিটে বহুবিধ দিক উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সামিটে সাংস্কৃতিক উৎসবের পাশাপাশি ঐতিহাসিক বহু বিষয়ও তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে।
[আরও পড়ুন:দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার দুর্ধর্ষ লস্কর জঙ্গি, নাম ছিল ২০০০ সালের লালকেল্লা হামলায় ]