বিজেপির জোটসঙ্গী কংগ্রেস! রাজস্থানে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামলেন ওয়েইসি
রাজস্থানে হাত মিলিয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাচনের ভোটে এমনটাই ঘটেছে। মূলত ভারতীয় ট্রাইবার পার্টি বা বিটিপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতেই দুই জাতীয় দল হাত মেলায় দুঙ্গারপুর জেলা পরিষদে। এরপরই বিটিপি কংগ্রেসের সরকার থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। আর এহেন রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
বিজেপি-কংগ্রেস জোট
উল্লেখ্য, দুঙ্গারপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনে বিটিপি সমর্থিত ৬ জন প্রার্থী জেতেন। অন্যদিকে কংগ্রেসও সেখানে জেতে ৬টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে যায় ৮টি আসন। এখানে কংগ্রেসের শরিক বিটিপি যাতে ক্ষমতায় না আসে, তার জন্য বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী সূর্য আহারিকে সমর্থন করে কংগ্রেস। তিনিই জেলা প্রমুখ পদে নির্বাচিত হন। এরপরই এই বিষয়ে সরব হন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
ওয়েইসির টুইট
এদিন একটি টুইট করে বিটিপি প্রধান বাসাভার উদ্দেশে টুইট করে লেখেন, 'বিরোধী ঐক্য নিয়ে কংগ্রেস আমাকে ও আপনাকে অনেক জ্ঞান দেবে। কিন্তু তারা নিজেরা 'পৈতাধারী' ঐক্যের উর্ধ্বে উঠতে পারে না। বিজেপি এভং কগ্রেস, উভয় দলই এক। তাদের সমর্থন নিয়ে আর কতদিন চলবেন? আপনার রাজনৈতিক ক্ষমতা কী 'কিংমেকার'-এর থেকে কম? আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।'
মুখ ফিরিয়েছে বিটিপি
প্রসঙ্গত, রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারকে সমর্থন জানিয়ে জোটে অংশ নেয় বিটিপি। এরপর সচিন পাইলট ও তাঁর সমর্থকরা যখন দলের বিরদ্ধে গিয়ে সরকার ছেড়ে বোরোনের পথে হাঁটার চেষ্টা করেছিলেন, তখন এই ২ বিটিপি বিধায়ক অশোক গেহলোটের পাশে ছিলেন। তবে আচমকাই রাজনীতির বাঁক ঘুরে যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর।
ওয়েইসি এলে রাজস্থানে লাভবান হবে বিজেপি
এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, দুঙ্গারপুর সহ বেশ কয়েকটি আদিবাসী এলাকায় বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বিটিপি। এদিকে ওয়েইসিও এই সুযোগে বিটিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজস্থানের রাজনীতিতে আসতে চাইছেন। এর আঘে মায়াবতীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারে ভআলো ফল করে এআইএমআইএম। রাজস্থানেও মায়াবতীর দলের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি নয়া জোট সমীকরণ দেখা যায়, তাতে বিজেপির থেকে কংগ্রেসের লোকসান বেশি হবে।
মমতা 'শূদ্র', অবুঝ! 'বহিরাগত' আক্রমণের বদলে বাংলায় জাতপাতের রাজনীতি বিজেপির?