জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য , ওয়াইসির নামে দায়ের এফআইআর
জগন্নাথ মন্দির নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) প্রধান এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে পুরী-ভিত্তিক একটি সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন অভিযোগ দায়ের করেছে। সোমবার পুরীতে মন্দির নিয়ে ওয়াইসির বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে অনেককে। তারপরেই আজকের ঘটনা।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মে মাসে মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডিতে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন সাংসদ স্বামী বিবেকানন্দের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন যে জগ্ননাথ মন্দির একটি বৌদ্ধ উপাসনালয় ধ্বংস করার পরে তৈরি করা হয়েছিল।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যে একটা সময় সত্যিই প্রচুর বৌদ্ধ স্থান ধ্বংস করা হয়েছিল এবং এর উপর হিন্দু মন্দির তৈরি করা হয়েছিল, এমনকি এই প্রশ্নও অনেকবার উঠেছে যে বৌদ্ধ স্থান ভেঙে লিঙ্গরাজ মন্দিরও নির্মিত হয়েছিল কি না ?
ইতিহাসবিদরা বলছেন , অশোক যিনি কলিঙ্গের (প্রাচীন ওড়িশা) শাসক ছিলেন তিনি নিজেই একজন বৌদ্ধ রাজা ছিলেন, কিন্তু অনেকের কাছে এটা স্পষ্ট নয় যে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা কিভাবে ভগবান জগন্নাথকে অপমান করে ? তবে ইতিহাসবিদরা বলছেন, বিবেকানন্দের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াইসি যেভাবে বলেছিলেন জগন্নাথ মন্দির বৌদ্ধদের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল তা নির্ধারণ করার খুবই শক্ত।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জগন্নাথ সেনার আহ্বায়ক প্রিয়দর্শন পট্টনায়েক বলেছেন, "হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি একজন দুষ্ট ব্যক্তি। তিনি চান মানুষ ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হোক। ঐতিহাসিকদের মতে, ইন্দ্রদ্যুম্নের যুগ থেকে চোদগঙ্গাদেব পর্যন্ত জগন্নাথ মন্দিরটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়েছে।"
তবে কিছু সংগঠন অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে সংগঠনগুলো। জগন্নাথ সেনা এবং যুব আধিভক্ত সংঘ সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যে ওয়াইসি তার মন্তব্যের মাধ্যমে ভগবান জগন্নাথের ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। জগন্নাথ সেনার নেতারা বলেছেন, "তার বক্তব্য বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনাও সৃষ্টি করতে পারে,"
টানা ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির শঙ্কায় উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা! দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া একনজরে
মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। ৩৪ বছর আগে মাত্র তিনটি ঘরের তালা খুলতে সক্ষম হয়েছিলেন কর্মকর্তারা। বাকি ঘরগুলিতে কী আছে, তা আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে। শ্রীজগন্নাথের 'ব্রহ্মবস্তু'র মতোই রত্নভাণ্ডারের রহস্য অধরাই রয়ে গিয়েছে। যে কক্ষগুলি খোলা সম্ভব হয়েছিল, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১৮০ রকমের মণিমুক্তো খচিত স্বর্ণ অলঙ্কার। যার মধ্যে আছে মুক্তো, প্রবালের মতো অত্যন্ত দামী পাথর। এছাড়া, ১৪৬ রকমের রৌপ্য অলঙ্কার। তবে, এই সবই 'ভিতর রত্নভাণ্ডার'-এর কথা। 'বাহার ভাণ্ডার'-এর চিত্র কিছুটা অন্যরকম। পুরী শ্রীজগন্নাথ মন্দির আইন, ১৯৫২ অনুযায়ী রেকর্ড জানার অধিকারে ১৯৭৮ সালে তালিকা তৈরি হয়।