ঘনিয়ে আসছে রায়ের দিন, ভারী হচ্ছে অযোধ্যার পরিবেশ
অযোধ্যার আকাশে-বাতাসেও কেমন একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েেছ। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যেও এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তাঁরাও নিজেদের নিরাপদে রাখার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
১৭ নভেম্বরের মধ্যেই অযোধ্যার জমি বিতর্ক মামলার রায়দান করার কথা প্রধান বিচারপতির। তার আগে থেকেই আশান্তির সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরেই অযোধ্যায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে যোগী সরকার। অযোধ্যার আকাশে-বাতাসেও কেমন একটা চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েেছ। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যেও এই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তাঁরাও নিজেদের নিরাপদে রাখার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
অশান্তির সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরই অযোধ্যা থেকে পরিবারের মেয়ে ও শিশুদের সরাতে শুরু করে দিেয়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। যেকোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এমনউ আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকী অনেকেই নির্ধারিত বিয়ের দিন পর্যন্ত বাতিল করে দিয়েছেন। অনেকে আবার বিয়ের জন্য বাইরের কোনও জায়গা বেছে নিচ্ছেন। সংখ্যালঘুদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অযোধ্যার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাম মন্দির তৈরির পক্ষে যদি রায়দান না করে সুপ্রিম কোর্ট তাহলে তাঁরা বিপদে পড়বেন। তাই পরিবারের লোকেদের নিরাপদে রাখতে বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুদের নিরাপদে রাখতে আগে থেকেই তাঁদের অযোধ্যা থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে শুরু করেছেন।
লোকসভা ভোটের আগে যখন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে অযোধ্যায় এসেছিলেন, সেসময় ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছিল। অন্যদিকে হিন্দুরা ঘরে খাবার মজুত করা শুরু করে দিয়েছেন। অযোধ্যার হনুমান গরহির পাশে লাড্ডুর দোকানি জানিয়েছেন পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে বোঝা যাচ্ছে না। বাইরে বেরোনোর পরিস্থিতি থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। সেকারণে আগে থেকেই ঘরে চাল-খাল- শুকনো খাবার মজুত করে রাখা হচ্ছে। কারণ এর আগে ১৯৯০ সাল থেকে দফায় দফায় অযোধ্যায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তাই এবার আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না সেখানকার বাসিন্দারা।
যোগী সরকারও নিরাপত্তার চরম প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। উত্তর প্রদেশ পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরদারি চালানো হবে। কোনও আপত্তিকর পোস্ট করা হলে সংশ্লীষ্ট ব্যক্তিকে বিশেষ াইনে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হবে। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অযোধ্যায় কোনও রকম জলসা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকী ইট পাথর, অ্যাসিড বিক্রির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সঙ্গেই দফায় দফায় আলোচনায় বসা হয়েছে।