আরও শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে, হতে পারে রিকার্ভ! উপকূলে জারি সতর্কতা, প্রস্তুতি প্রশাসনের
দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এলাকাটি (Low pressure area) শক্তি বাড়িয়েছে। যা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে তা থাকতে পারে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের কাছে। তারপর তা রিকার্ভ হওয়ার সম্
দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ওপরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এলাকাটি (Low pressure area) শক্তি বাড়িয়েছে। যা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে তা থাকতে পারে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের কাছে। তারপর তা রিকার্ভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ঘূর্ণিঝড় অশনি (cyclone Asani) তা এগোতে পারে উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে। যার জেরে ওড়িশা উপকূলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এগোচ্ছে উত্তর-পশ্চিম দিকে
এদিন নিম্নচাপ এলাকায় শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে, তা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার সন্ধেয় এটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ১০ মে ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের কাছে অবস্থান করতে চলেছে এটি। তবে আবহাওয়া দফতরের তরফে এখনও এর ল্যান্ডফল সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
পূর্বের অভিজ্ঞতায় আগে থেকেই প্রস্তুতি
২০১৯,
২০২০
এবং
২০২১
সালে
পরপর
তিনটি
ঘূর্ণিঝড়ের
সাক্ষী
থেকে
ওড়িশা।
এই
তিন
ঘূর্ণিঝড়
হল
যথাক্রমে
ফনি,
আম্ফান
এবং
ইয়াস।
আগেকার
অভিজ্ঞতাকে
কাজে
লাগিয়ে
ওড়িশায়
দুর্যোগ
মোকাবিলা
এবং
অগ্নি
নির্বাপণ
দফতরের
দলগুলিকে
স্ট্যান্ডবাই
রাখা
হয়েছে।
ওড়িশার
বিশেষ
ত্রাণ
কমিশনার
পিকে
জেনা
বলেছেন,
এনডিআরএফ-এর
১৭
টি
এবং
ওডিআরএএফ-এর
২০
টি
এবং
দমকলের
১৭৫
টি
দলকে
তৈরি
রাখা
হয়েছে।
এনডিআরএফ-এর
তরফে
জরুরি
পরিস্থিতি
মোকাবিলায়
আরও
১০
টি
দলকে
তৈরি
করার
কথা
বলা
হয়েছে।
যেসব প্রস্তুতি ওড়িশা সরকারের
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৯ মে থেকে সমুদ্রের পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে হাওয়ার বেগ ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি হতে পারে। ওড়িশা সরকারের তরফে বলা হয়েছে, জেলেদের ওপরে নজরদারি করতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে সতর্ক করা হয়েছে। ওড়িশা দমকলের সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সরকারি তরফে জানানো হয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তু তারা। ঘূর্ণিঝড়ে টেলিফোন টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তা তাড়াতাড়ি ঠিক করতে পরিষেবা সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘর থেকে না বেরোতে। অনেক সময় তারা আম কিংবা নারকেল সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়েন। সেই পরিস্থিতিতে তা জীবন হানির কারণ হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা। তবে বাংলায় এর জেরে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি'-র সংকেত! উৎপত্তি থেকে ল্যান্ডফল, সম্ভাব্য পরিস্থিতি একনজরে