AIADMK-র দ্বন্দ্ব: পালানিস্বামী জয়ললিতার দলের সর্বোচ্চ পদাধিকারী, বহিষ্কার করা হল পনিরসেলভামকে
তামিলনাড়ুর (tamilnadu) বিরোধী দল এআইএডিএমকেতে (aiadmk) দ্বৈত নেতৃত্বের অবসান। এদিন দলের অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ই পালানিস্বামী (e palaniswamy)। দলের সাধারণ পরিষদের আড়াই হাজারের বেশি সদস্য
তামিলনাড়ুর (tamilnadu) বিরোধী দল এআইএডিএমকেতে (aiadmk) দ্বৈত নেতৃত্বের অবসান। এদিন দলের অন্তর্বর্তীকালীন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ই পালানিস্বামী (e palaniswamy)। দলের সাধারণ পরিষদের আড়াই হাজারের বেশি সদস্য ইপিএসকে (eps) সমর্থন করেন। অন্যদিকে এর পরেই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা ও পনিরসেলভাম (o panneerselvam) অর্থাৎ ওপিএসকে (ops) দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দ্বৈত নেতৃত্বে পরপর পরাজয়
এআইএডিএমকের সাধারণ পরিষদে ও পনিরসেলভাম এবং ই পালানিস্বামি যথাক্রমে কোঅর্ডিনেটর এবং যুগ্ম কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন। দ্বৈত নেতৃত্বের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসুবিধা হচ্ছিল। এছাড়াও এআইএডিএমকে সদস্য সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল। দ্বৈত নেতৃত্বেই পরপর তিনটি ভোটে পরাজয় হয় এআইএডিএমকের।
শুরুতেই হাইকোর্টে ধাক্কা পনিরসেলভামের
এদিন
এআইএডিএমকের
সাধারণ
পরিষদের
সভা
ডাকা
হয়েছিল।
ডেকেছিলেন
কে
পালানিস্বামী।
এর
বিরুদ্ধে
হাইকোর্টে
আবেদন
করেন
প্রতিদ্বন্দ্বী
ও
পনিরসেলভাম।
হাইকোর্টের
তরফে
সভায়
কোনও
স্থগিতাদেশ
দেওয়া
হয়নি।
বৈঠকে
সাধারণ
সম্পাদক
নির্বাচনের
জন্য
৪
মাসের
মধ্যে
সাংগঠনিক
নির্বাচনের
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়।
দল
পরিচালনায়
বেশ
কিছু
আইন
সংশোধনেরও
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়।
এর
মধ্যে
রয়েছে
শীর্ষপদের
জন্য
লড়াইয়ের
বিষয়টিও।
নতুন
নিয়মে
বলা
হয়েছে
যিনি
শুধুমাত্র
১০
বছর
দলের
প্রাথমিক
সদস্যপদে
থাকবেন,
তিনিই
দলের
নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে
পারবেন।
এছাড়াও
দলের
তরফে
পেরিয়ার
ইভি
রামস্বামী,
সিএম
আন্নাদুলারই
এবং
জয়ললিতাকে
ভারতরত্ন
দেওয়ার
জন্য
প্রস্তাব
গৃহীত
হয়।
আগেই সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি
জয়ললিতা
দুবার
ও
পনিরসেলভামকে
স্ট্যান্ড-ইন-মুখ্যমন্ত্রী
করেছিলেন।
কিন্তু
দোষী
সাব্যস্ত
হওয়ায়
তাঁকে
পদত্যাগ
করতে
হয়।
অন্যদিকে
বেআইনি
সম্পদ
মামলায়
জেলে
যাওয়ার
আগে
তিনি
মুখ্যমন্ত্রী
হিসেবে
ইপিএস-এর
নাম
ঘোষণা
করেছিলেন।
এহেন
দলের
গুরুত্বপূর্ণ
দুই
নেতার
মধ্যে
লড়াই
শুরু
হয়
জয়ললিতার
মৃত্যুর
পরে।
ইপিএস
দলের
সভা
আহ্বানকে
মান্যতা
দেয়
সুপ্রিম
কোর্ট।
আদালতে
ওপিএস
ক্যাম্পের
যুক্তি
ছিল
আইন
অনুসারে
কেবল
কো-অর্ডিনেটর
এবং
যুগ্ম
কো-অর্ডিনেটরই
দলের
সভা
ডাকতে
পারেন।
কিন্তু
নবনিযুক্ত
প্রেসিডিয়াম
চেয়ারম্যানের
ডাকা
সভা
বেআইনি।
এছাড়াও
বৈঠকের
আমন্ত্রণপত্রটিতে
কোনও
স্বাক্ষর
ছিল
না।
চেন্নাইয়ে অশান্তি
এদিকে
এদিন
হাইকোর্টের
রায়ের
আগে
চেন্নাইয়ে
দলের
সদর
দফতরের
বাইরে
পালানিস্বামী
এবং
পনিরসেলভামের
সমর্থকদের
মধ্যে
মারামারি
শুরু
হয়ে
যায়।
একে
অপরের
দিকে
পাথর
থেকে
চেয়ার
ছুঁড়তে
থাকে।
এই
ঘটনায়
রাস্তার
পাশের
দোকানের
এবং
রাস্তায়
যানবাহনের
ক্ষতি
হয়।
দুপক্ষের
সংঘর্ষ
হয়
মাদ্রাজ
হাইকোর্টের
বাইরেও।
এই
সংঘর্ষে
দুপক্ষের
বেশ
কয়েকজন
আহত
হন।