আজমগড় ও রামপুরে সমাজবাদী পার্টির গড়ে বিপুল জয় বিজেপির! গেরুয়া ঝড়ে লোকসভায় শক্তি কমল অখিলেশের দলের
সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) দুর্গ হিসেবে পরিচিত উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) আজমগড় এবং রামপুরে বিপুল জয় বিজেপির (BJP)। অখিলেশ যাদব এবং আজম খান বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে এই দুই আসন ছেড়ে দেন। তারপরে
সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) দুর্গ হিসেবে পরিচিত উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) আজমগড় এবং রামপুরে বিপুল জয় বিজেপির (BJP)। অখিলেশ যাদব এবং আজম খান বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে এই দুই আসন ছেড়ে দেন। তারপরে হওয়া উপনির্বাচনে দুটি আসনই দখল করে বিজেপি। ভোট বিশ্লেষকদের মত অনুযায়ী, দুই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির অন্তর্দ্বন্দ্বকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি একটি কেন্দ্রে মায়াবতীয় বিএসপি মুসলিম ভোট ভাগ করে বিজেপির জয়কে প্রশস্ত করেছে।
ভোট কেটে সাহায্য বিএসপির
আজমগড় কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দীনেশলাল যাদব সমাজবাদী পার্টির ধর্মেন্দ্র যাদবকে ৮৫০০ ভোটে পরাজিত করেন। এই কেন্দ্রে বিএসপি প্রার্থী গুড্ডু জামালি বেশ ভাল ভোট কেটেছেন। রামপুরে বিএসপি প্রার্থী দেয়নি। এই কেন্দ্রে আজম খান প্রার্থী করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অসীম রাজাকে।বিজেপি ঘনশ্যাম লোধী এই কেন্দ্রে এসপি প্রার্থীকে প্রায় ৪২ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হন।
লোকসভায় শক্তি কমল অখিলেশের
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনে
আজমগড়
থেকে
জিতেছিলেন
অখিলেশ
যাদব।
অন্যদিকে
রামপুর
থেকে
জিতেছিলেন
আজম
খান।
এর
আগেও
রামপুরে
জিতেছিলেন
আজম
খান।
তবে
গত
মার্চে
তাঁরা
দুজন
বিধানসভায়
নির্বাচিত
হওয়ার
পরে
লোকসভার
আসন
দুটি
ছেড়ে
দেন।
আজমগড়
এবং
রামপুর
দখল
করায়
উত্তর
প্রদেশ
থেকে
লোকসভায়
এখন
বিজেপির
সদস্য
সংখ্যা
বেড়ে
হয়েছে
৬৪।
অন্যদিকে
অখিলেশ
যাদবের
দলের
আসন
সংখ্যা
৫
থেকে
কমে
হয়ে
গেল
৩।
অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদী-নাড্ডা-শাহ
এই দুই কেন্দ্রে বিজেপির জয়ের জার্মানি সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ দলের অন্য শীর্ষ নেতারা দুই কেন্দ্রের জনগণ থেকে বিজেপি কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
|
বিজেপির ঐতিহাসিক জয়
প্রধানমন্ত্রী
মোদী
আজমগড়
ও
রামপুরে
উপনির্বাচনে
বিজেপির
জয়কে
ঐতিহাসিক
বলেছেন।
রাজ্য
ও
কেন্দ্রে
ডাবল
ইঞ্জিন
সরকারের
কারণে
সাধারণ
মানুষের
কাছে
বিজেপির
গ্রহণযোগ্যতা
বেড়েছে।
২০০৯
সালের
পর
থেকে
আজমদড়ে
পরাজিত
হয়নি
এসপি।
গত
মার্চে
হওয়া
বিধানসভা
নির্বাচনেও
এরই
অন্তর্গত
বিধানসভা
থেকে
জয়ী
হয়েছিলেন
অখিলেশ।
অন্যদিকে
রামপুরে
এসপির
পরাজয়ের
অর্থ
এলাকায়
আজম
খানের
রাশ
আলগা
হওয়া।
এই
মুহূর্তে
আজম
খানের
বিরুদ্ধে
৮৭
টি
মামলা
চলছে।
তার
মধ্যে
৮৪
টি
বিজেপি
শাসনের
সময়ের।
বিভিন্ন
মামলায়
আজম
খান
২৭
মাস
জেলে
ছিলেন।
রামপুরে
যেমন
৮.৫
লক্ষ
মুসলিম
ভোট
রয়েছে।
অন্যদিকে
৮.৩০
লক্ষ
হিন্দু
ভোটের
মধ্যে
১.২৫
লক্ষ
লোধি,
৭৫
হাজার
কুর্মী,
৪৫
হাজার
যাদব
ভোটও
রয়েছে।
তবে
বিজেপি
এবার
এই
কেন্দ্রে
আজম
খানের
প্রাক্তন
সহযোগী
ঘনশ্যাম
লোধীকে
প্রার্থী
করায়
সজমাবাদী
পার্টির
পক্ষে
লড়াই
কঠিন
হয়ে
পড়ে।