গৃহবন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল! ভারত বনধের দিনে কেন্দ্রের নির্দেশেই দিল্লি পুলিশের পদক্ষেপ?
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি করল দিল্লি পুলিশ। গতকাল সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার পরই তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়। কাউকে তাঁর বাড়িতে প্রবেশে ও বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করার বিষয়টি টুইট করে জানানো হয় আম আদমি পার্টির তরফে।
আম আদমি পার্টির দাবি উড়িয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ
যদিও দিল্লি পুলিশের তরফে আম আদমি পার্টির এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে মুখ খোলেন দিল্লি পুলিশের ডিসিপি। কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দির করার খবর প্রকাশিত হতেই সাংবাদিক বৈঠক করে আপ। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তারা। মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করার কারণে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করে আপ আদমি পার্টি।
দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে গিয়েছিলেন কেজরিওয়াল
এদিন কৃষকদের ডাকে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বনধ। কৃষকদের এই আন্দোলন ও বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও। আর এই বনধের সমর্থনে সোমবার দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে যান তিনি।
সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত
সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত। এই নিয়ে আজ ১৩তম দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। এই পরিস্থিতি আজ দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। তার আগে সোমবারই বিক্ষোভস্থানে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি, কৃষকদের জন্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তাও খতিয়ে দেখেন তিনি।
কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন কেজরিওয়ালের
কেজরিওয়াল টুইট করে জানিয়েছিলেন, আম আদমি পার্টি কৃষকদের ডাকা ভারত বনধ-কে পুরোপুরি সমর্থন করে। সারাদেশের আপ কর্মীরা এটিকে শান্তিপূর্ণভাবে সমর্থন করবেন। দেশবাসীর কাছে আবেদন যে, প্রত্যেকে কৃষকদের সমর্থন করুন এবং এতে অংশ নিন।
কৃষক-কেন্দ্র অচলাবস্থা জারি
কৃষি আইনের বিরোধিতায় হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে জমায়েত করেছেন গত বেশ কয়েক দিন ধরেই। এরপর সরকারের সঙ্গে কৃষকদের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষক সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনায় তারা তিনটি আইনই প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে৷ কিন্তু সরকার আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ কৃষকরা।