ফারুক আবদুল্লাহর কন্যার সঙ্গে সচিনের বিয়ের গল্প ফিল্মকে হার মানায়! কেজরিওয়াল থেকে সনিয়ার প্রেমকাহিনি
ভ্রু কুঁচকে বিরোধী শিবিরের দিকে স্লোগান দিচ্ছেন সোনিয়া কিম্বা কেজরিওয়াল , কখনওবা চূড়ান্ত ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে সচিন পাইলটকে। এভাবেই সাধরণত রাজনৈতিক নেতাদের দেখে অভ্যস্ত গোটা দেশ। তবে জানেন কি , ভারতের এই তাবড় রাজনীতিবিদদের জীবনেও রয়েছে প্রেমের জমজমাট কাহিনি। বহু রাজনৈতিক নেতার প্রেম কাহিনিই কোনও ফিল্মের গল্পের থেকে কিছু কম নয়।

রাজীব গান্ধী-সনিয়া গান্ধীর প্রেম
কেমব্রিজে পড়াকালীন এক ইতালিয় মেয়ের প্রেমে পড়ে যান ইন্দিরা পুত্র রাজীব গান্ধী। আর এই ইতালিয়ান মেয়েই পরবর্তী কালে মিসেস গান্ধী হিসাবে পরিচিত হন।কথা হচ্ছে, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর প্রেম কাহিনীর। এক রেস্তোরাঁয় সনিয়াকে দেখেই টিস্যুতে গোপন বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজীব। যার জন্য রোস্তোরাঁর মালিককে 'ঘুষ'ও দিতে হয় বলে বহু সময় মজা করতেন রাজীব! এরপর প্রেমের পরম্পরা এগিয়ে যায়। দুই ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন হলেও, তাতে আপত্তি করেননি ইন্দিরা। তবে সোনিয়ার বিষয়ে মা ইন্দিরাকে বোঝাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল রাজীবকে।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল -সুনীতা কেজরিওয়াল
তখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসেস-এর অফিসার হিসাবে কর্মরত। আর অন্যদিকে, সুনীতাও একই পদে আসীন ছিলেন। আর সেই সময় থেকেই দুই অফিসারের প্রেম শুরু। যা পরবর্তীকালে গিয়ে ঠেকে বিয়ের সম্পর্কে। তবে প্রাথমিকভাবে এই বিয়েতে খুব একটা সায় ছিলনা দুই পরিবারের। তবে ২ মাসের প্রেমে ততদিনে ডেট থেকে গিফ্ট দেওয়া নেওয়া সমস্তই হয়ে গিয়েছিল এই প্রেমকাহিনিতে। এরপর শেষমেশ প্রেমের কাছে হার মানতে হয় দুই পরিবারকে।

সচিন-সারার প্রেম
একদিকে কাশ্মীরে প্রতাপশালী রাজনৈতিক পরিবার আবদুল্লাহরা অন্যদিকে, কংগ্রেসের দুঁদে নেতা রাজেশ পাইলট। এই দুই পরিবারের রাজনৈতিক প্রভাব কোনও অংশেই কম নয়। আর সেই দুই পরিবারের সন্তান সচিন পাইলট ও ফারুক আবদুল্লাহর কন্যা সারার প্রেম কাহিনি কোনও বলিউড ফিল্মকে হার মানাতে পারে। লন্ডনে সচিনের পড়াশোনার সময়ই সারার সঙ্গে তাঁর পরিচিতি। এরপর দিল্লি ফিরে আসতে হয় সচিনকে। তবে সম্পর্ক অটুট থাকে। এরপরই বাড়িতে সম্পর্কের কথা জানান দু'জনেই। যার পর বেঁকে বসে আবদুল্লাহ পরিবার। সায় দেননি রাজেশ পাইলটও। দীর্ঘ টালবাহানার পর, পরিবারকে বুঝিয়ে শেষপর্যন্ত বিয়ে হয় সচিন পাইলট ও সারা আবদুল্লাহর।

অখিলেশ-ডিম্পলের বিয়ে
ডিম্পলের বাবা ভারতীয় সেনার লেফটনেন্ট জেনারেল ছিলেন। তাঁকে কম ভয় পেতেন না তৎকালীন অল্প বয়সী অখিলেশ ! তবে সবার নজর এড়িয়েও লেফটনেন্ট জেনারেলের মেয়ে ডিম্পলকে নিয়ে ডেট-এ নাকি গিয়েছিলেন অখিলেশ, বলে কানাঘুষো শোনা যায়।প্রেমিকা ডিম্পলের গ্রামে তখন মুলায়ম সিং যাদব বিরোধী রাজনৈতিক বিক্ষোভ আন্দোলন চলছিল। তার মধ্যেই কীভাবে ডিম্পলের পরিবার তাঁকে মেনে নেবে, সেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের যাদব বংশের বড় ছেলে অখিলেশ। এদিকে, জাতিগত ভাবে ডিম্পল ও অখিলেশের পরিবারের ফারাক ছিল। সেই সময়, নিজের ঠাকুমা মুরতী দেবীকে দিয়ে বাবা মুলায়মকে রাজি করান অখিলেশ। এরপরই আসে বহু আকাঙ্খিত সেই রাজকীয় বিয়ে।