জামিনের টাকা জমায় নারাজ, ২৩ মে পর্যন্ত কারাগারে অরবিন্দ কেজরিওয়াল
লোকসভা ভোটপর্ব চলাকালীন বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি নীতিন গড়করির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তোপ দেগেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন নীতিন গড়করি। তিনি বলেছিলেন, এই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, নইলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপি-ও খড়্গহস্ত হয়। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফলে মানহানির মামলা রুজু হয়।
বুধবার তিনি পাতিয়ালা হাউস কোর্টে হাজিরা দেন। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের তরফে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী তথা আম আদমি পার্টির আর এক হেভিওয়েট প্রশান্ত ভূষণ। নীতিন গড়করির আইনজীবী ছিলেন পিঙ্কি আনন্দ। দু'পক্ষে সওয়াল-জবাবের পর বিচারক বলেন, "আইন অনুযায়ী আপনাকে জামিনের টাকা জমা করতে হবে। তা হলে জামিন পাবেন।" কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "দিস ইজ আ পলিটিক্যাল ইস্যু। আমি বন্ডের টাকা জমা দেব না।" তাঁর এই গোঁয়ার মনোভাবে বিরক্ত বিচারক তৎক্ষণাৎ তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৩ মে পর্যন্ত তিনি তিহার জেলে থাকবেন। ওই দিন বিকেলে ফের মামলার শুনানি হবে।
নীতিন গড়করির আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ বলেন, "আদালতে ওঁকে ১০ হাজার টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিন দিতে রাজি ছিল। প্রথমে বিচারক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি কি বন্ডের টাকা জমা দেবেন? উনি বললেন, হ্যাঁ। তার পর যখন আদালত বলল, ১০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে, তখন বেঁকে বসলেন। বললেন, দিস ইজ আ পলিটিক্যাল ইস্যু। আদালতে দাঁড়িয়ে কী করে এ সব কথা বলেন? ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৩৬,৪৪১ এবং ৪৪৪ ধারা অনুযায়ী, কোনও মামলায় অভিযুক্ত জামিন নিতে চাইলে তাঁকে বন্ড দিতে হবে। উনি দেশের আইন মানেন না, অথচ দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাবেন কী করে? বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে বারবার বলেছেন, উনি সাধারণ নাগরিক নন। তাই তাঁকে জেলে পাঠানো ঠিক হচ্ছে না। অদ্ভুত! আইন তো সবার ক্ষেত্রে সমান!"
পিঙ্কি আনন্দের বক্তব্য, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইচ্ছে করেই জেলে গেলেন। উদ্দেশ্য, সহানুভূতি আদায় করা। অথচ ১০ হাজার টাকার বন্ড জমা দিলেই আদালত তাঁকে মুক্তি দিত।