করোনা সংক্রমণ বাড়তেই বেড সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্র-কেজরি তরজা তুঙ্গে! শেষ পর্যন্ত নেওয়া হল কোন সিদ্ধান্ত
দিল্লিবাসীর জন্য হাসপাতালে বেড সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। আজ কেজরিওয়াল জানান, সেই আদেশ মেনে চলা হবে। প্রত্যেকের সমানভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল। আজ এই প্রেক্ষিতে কেজরিওয়াল অনলাইন বিবৃতিতে জানান, এই সময় রাজনীতির নয়। তর্ক-বিতর্কের সময় নয়।
দিল্লিবাসীর জন্য বেড সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়ে তরজা
দিল্লির বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত দিল্লিবাসীর জন্য বেড সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে আজ সেই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এসে কেজরিওয়াল জানান, করোনা এক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। প্রয়োজন উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামো।
দিল্লিতে জুলাইতে বাড়বে সংক্রমণ
জুলাইতে সংক্রমণ আরও বাড়বে, সেই অনুযায়ী প্রয়োজন বেডও। দিল্লি সরকারের প্রকাশিত অনুমান তথ্য অনুযায়ী, ১৫ জুনে ৪৪ হাজার করোনা আক্রান্ত হবে। ৩০ জুনে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে এক লাখ। এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৫.৫ লাখ মোট করোনা আক্রান্ত হবেন দিল্লিতে।
কেন্দ্র-কেজরি তরজা
গতকাল কেজরিওয়ালের করোনা টেস্টের রিপোর্ট আসে, জানা যায় তিনি কোভিড নেগেটিভ। নিজেকে আইসোলেশনে রাখার পর আজ আবার প্রকাশ্যে আসেন তিনি। অনলাইনে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা দিল্লি নির্বাচনে ৬২টি আসন জিতেছিলাম। কেন্দ্র সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এবং এটা বিতর্কের সময় নয়। লেফটেন্যান্ট গভর্নর প্রস্তাব মেনে চলা হবে।'
কেজরিওয়ালের বক্তব্য
এরপর কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'যদি রাজনৈতিক দলগুলি বিতর্ক করতে থাকে, তবে করোনা জিতবে। সম্পূর্ণ দেশকে একসঙ্গে মিলে লড়াই করতে হবে। আপনারা ভাবতে পারছেন না আমরা কী সংকটের মধ্যে রয়েছি।'
চিকিৎসা পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করেন কেজরি
এরপর কেজরিওয়াল উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করেন। বাইরের রাজ্য থেকেও অনেক মানুষ চিকিৎসা সূত্রে বা কাজের সূত্রে দিল্লি আসবেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন অনেক সংখ্যক বেড। কেজরিওয়াল বলেন, '১৫জুলাইয়ের মধ্যে আমাদের কোরোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রেই ৩৩ হাজার বেড প্রয়োজন। বাইরের রাজ্য থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের নিয়ে প্রয়োজন ৬৫ হাজার বেড। এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজন মোট ১.৫ লাখ বেড।'