বিজেপি-র কলকাঠি? সপরিবারে মন্দির চত্বর থেকে পাততাড়ি গোটালেন কেজরিওয়াল
বারাণসী লোকসভা আসনে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপি-র নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গত ১৫ এপ্রিল থেকে তিনি এখানে সঙ্কটমোচন মন্দিরের অতিথি নিবাসে সপরিবারে বসবাস শুরু করেছিলেন। স্ত্রী, পুত্র-কন্যা ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা-মা। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। গতকাল দুপুরে হঠাৎই ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, আর থাকা চলবে না অতিথিশালায়। কারণ এখানে রাজনীতি-সংক্রান্ত কাজকর্ম এত বেশি হচ্ছে যে, সাধারণ ভক্তরা অভিযোগ জানাচ্ছেন। শান্তিতে কেউ দু'দণ্ড ভগবানের নামগান করতে পারছেন না। সব সময় স্লোগান আর হইহল্লা চলছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিষয়টি ভেবে দেখতে অনুরোধ করলেও অটল থাকে মন্দির কর্তৃপক্ষ। ফলে গতকাল সন্ধেবেলা শেষ পর্যন্ত তাঁকে সঙ্কটমোচন মন্দিরের অতিথিশালা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়। এক দলীয় সমর্থক তাঁকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দেন।
এর পর দলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে সরাসরি বিজেপি-কে অভিযুক্ত করা হয়। বলা হয়, "যে দল দাবি করছে, তাদের সমর্থনে ঢেউ উঠেছে সারা দেশে, তারাই এখন প্রতিপক্ষকে কাবু করতে পেশিশক্তির আস্ফালন ঘটাচ্ছে। কিন্তু বিজেপি ভুলে গিয়েছে যে, গায়ের জোরে আম আদমি পার্টিকে দমানো যাবে না।"
ঘনিষ্ঠ মহলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে দাবি করেছেন, মন্দিরের প্রধান পুরোহিত বিশ্বম্ভর মিশ্রকে ভয় দেখিয়েছে বিজেপি। নইলে তিনি খুবই অতিথি বৎসল। এভাবে কাউকে সপরিবারে মন্দিরের অতিথিশালা ছাড়তে বলতেন না।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দু'বার কেজরিওয়ালের ভোটপ্রচার পণ্ড করে দিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। বারাণসীর বিভিন্ন জায়গায় আম আদমি পার্টির কর্মীদের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের শিকার হতে হচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।