দিল্লি বিধানসভা ভোট ২০২০: তৃতীয়বার ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
দিল্লি বিধানসভা ভোট ২০২০: তৃতীয়বার ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল
ঝাড়ু ঝড়ে সাফ পদ্মালয়। দিল্লিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুপুর পর্যন্ত ফলাফল যেদিকে এগিয়েছে তাতে দিল্লির সিংভাগ আসনেই আপ প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। ৭০টি আসনের মধ্যে ৫৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছেন আপ প্রার্থীরা।
মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কেজরিওয়াল
ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি আসনে এগিয়ে রয়েেছন আপ প্রার্থীরা। এমনকী প্রায় সবকটি সংরক্ষিত আসনই দখলের পথে আপ। হিন্দুত্বের রাজনীতি ফাটল ধরাতে পারল না আপের সর্বধর্ম সমন্বয়ের রাজনীতিতে। কেজরিওয়াল দেখিয়ে দিলেন উন্নয়নই আসল অস্ত্র ক্ষমতা ধরে রাখার।
ধরাশায়ী বিজেপি
হিন্দুত্বের জিগিরে লাভ হল না। বরং বুমেরাং হয়েই ফিরে এসেছে বিজেপি শিবিরে। শাহিন বাগ নিয়ে বিজেপি নেতাদের একের পর এক আপত্তিকর মন্তব্য যে আদতে জনমানসে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে সেটা বুঝে উঠতে পারেননি অমিত শাহরা। রেকর্ড সংখ্যক ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে জনতার রায় কার সঙ্গে রয়েছে। অমিত শাহ থেকে যোগী আদিত্যনাথ সকলেই যেভাবে শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে বিঁধেছেন তাতে উল্টো ফল হয়েছে জন মানসে। ৭০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
সিএএ, এনআরসি, এনপিআর-র জের
দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে রাম মন্দিরের ট্রাস্ট ঘোষাণা করে অনেকটা ভোট দখল করে নেবেন ভেবেছিলেন মোদী। কিন্তু তা কার্যত হয়নি। মানুষ ধর্মের ভেদাভদের রাজনীতিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তার উপর জোড়া ফলার কাজ করেছে সিএএ এবং এনআরসি ও এনপিআর।