প্রথম ধাক্কাটা ‘শত্রু’ মোদীর, পরের ধাক্কাটা প্রিয়‘বন্ধু’র, তাতেই টলমল জোট-তরণী
প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই মোক্ষম ধাক্কাটা এল ‘বন্ধু’ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১৯-এর বিরোধী ঐক্যে প্রবল ধাক্কা লাগল।
প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিলেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী নরেন্দ্র মোদী। আর তারপরেই মোক্ষম ধাক্কাটা এল 'বন্ধু' অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১৯-এর বিরোধী ঐক্যে প্রবল ধাক্কা লাগল। আপ শিবির খোলাখুলি জানিয়ে দিল, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তারা একাই লড়বে। প্রস্তাবিত বিজেপি বিরোধী জোটে থাকবে আপ, সাফ জানালেন পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল। বলতে গেলে ২০১৯-এর লক্ষ্যে জোট গড়ার কাজ শুরুর মুখেই জোর ধাক্কা খেল আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সিদ্ধান্তে। বিরোধী ঐক্যের পথ থেকে পাকাপাকি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিল আপ। তার জেরে মোদী-শাহদের জয়ের পথ প্রশস্ত হয়। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা রাজ্যসভায় বিজেপি-জোটকে হারিয়ে আসন্ন লোকসভায় সার্বিক ঐক্যের বার্তা দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু প্রস্তাবিত জোটের এক শরিকের সিদ্ধান্তেই ধাক্কা খেল বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়ার অঙ্ক।
[আরও পড়ুন: মোদী-বিরোধী জোটের 'প্রদীপ' নিভিয়ে দিলেন কেজরি, আপ-হীন ছন্নছাড়া মমতা-রাহুলরা]
বিজেপি চেষ্টা করছে বিরোধীদের জোট ভেস্তে দিতে। তাহলেই ২০১৯-এ জয়ের দরজা খুলে যাবে তাদের কাছে। আর বিরোধীরা চাইছে যে কোনও মূল্যে বিজেপি বিরোধী ভোট এক জায়গায় করতে। এই যুদ্ধে আপাতত এগিয়ে বিজেপি। অর্থাৎ প্রথম ধাক্কাটা যখন মোদী-শাহরা দিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ধাক্কাটা মোক্ষমভাবে এল এক জোট-শরিকের কাছ থেকেই।
রাজ্যসভায় ভোটদানেও বিরত থাকার পর আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন জানিয়ে দেন, তারা লোকসভায় বিরোধী জোটে থাকবেন না। তাঁরা এককভাবেই লোকসভায় লড়বেন। এবং হরিয়ানা বিধানসভা ভোটেও তাঁরা এককভাবেই লড়বেন। এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মোদী বিরোধিতায় সামনের সারিতেই ছিলেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই তিনিই সটান ইউ-টার্ন নিলেন।
[আরও পড়ুন: ২০১৯-এ বিজেপি রাজনৈতিকভাবে নার্ভাস, রাহুলকে জোটবদ্ধ নেতৃত্বের বার্তা মমতার]
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে এক নেতা তথা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির কেসি রাওকে নিজের দিকে টেনে এনেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর জেডিইউকে দিয়ে বিরোধী শিবিরের দিকে ঝুঁকে থাকা বিজু জনতা দলকে নিজেদের দিকে টেনে মোক্ষম চাল দিয়েছিলেন মোদী-শাহরা।
মূলত বিজেডির ভোটেই রাহুল-মমতাদের ফের একবার মাত দেন নরেন্দ্র মোদী। জোট রাজনীতিতেও রাহুল-মমতারা যে এখনও মোদী-শাহদের কাছে চুনোপুঁটি তা প্রমাণ করে দিল রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচান। আর তারপর আরও বড় আঘাত বয়ে আনল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সিদ্ধান্ত।