করোনা সংক্রমণ রুখতে কি বাড়ছে লকডাউন! মোদীর আগেই ঘোষণা কেজরিওয়ালের
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য কি আরও দু-সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানো হবে? তা নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে কেজরিওয়াল লকডাউন বাড়ানোর বার্তা দিলেন।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করার জন্য কি আরও দু-সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানো হবে? তা নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে অরবিন্দ কেজরিওয়াল একপ্রকার লকডাউন বর্ধিত করার বার্তা দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার আগেই তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিলেন।
|
কেজরিওয়াল টুইট
কেজরিওয়াল টুইট করে জানান, লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ অনেকগুলি উন্নত দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থান ভালো কারণ আমরা তাড়াতাড়ি লকডাউন শুরু করেছি। এখনই যদি এটি বন্ধ করা হয় তবে সমস্ত লাভ হারাবে। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন বাড়ানো উচিত।
বৈঠক শেষে কী সিদ্ধান্ত
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক করেন লকডাউন নিয়ে। করোনা ভাইরাস মহামারী রুখতে লকডাউন নিয়ে আলোচনার পরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটারে জানালেন এই বার্তা। তিনি একপ্রকার জানিয়েই দিলেন বৈঠক শেষে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে।
লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত?
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী যে লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, সেই অভাস মিলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের টুইটে। ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীনও মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
তিন দফা বক্তব্য পেশ
দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলার সময় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনা ভাইরাস এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে তিন দফা বক্তব্য পেশ করেন।
প্রস্তাবিত তিনটি বিষয়
কেজরিওয়ালের প্রস্তাবিত তিনটি বিষয় ছিল। এক, করোনাভাইরাস লকডাউনটি কমপক্ষে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো উচিত। দুই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি জাতীয় পর্যায়ে কার্যকর করা উচিত। যদি রাজ্য সরকারগুলি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয় তবে লকডাউনের কার্যকারিতা হারাবে। তিন, লকডাউন শিথিল করলেও রেলপথ এবং সড়কপথের মতো পরিবহন পরিষেবা এখনই চালু করা উচিত নয়।