তলোয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সিবিআই আদালত
১৪ বছরের আরুষি এবং বাড়ির পরিচারক হেমরাজের খুন নিয়ে বিতর্ক চলেছে শুরু থেকেই৷ তদন্ত চলাকালীন কখনও উঠে এসেছে'সম্মানরক্ষার জন্য খুন' কখনও আবার দাবি করা হয়েছে, অন্য পরিচারকদের হাতেই খুন হয়েছিলেন আরুষি ও হেমরাজ৷
২০০৮ সালের ১৬ মে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। আর নিজের ঘরের বিছানায় গলা-কাটা দেহ পড়ে আরুষির। এর পরই ছড়িয়ে পড়ে খুনের খবর। প্রথম সন্দেহ যায় বাড়ির পরিচারক হেমরাজের উপর। কিন্তু পরের দিন বাড়ির টেরেস থেকে হেমরাজের বিকৃত মৃতদেহ তোষকে মোড়া অবস্থায় পাওয়া গেল তদন্তের মোড় ঘুরে যায় ১৮০ ডিগ্রি। পাঁচ-সাড়ে পাঁচ বছর ধরে এই মামলা নিয়ে চলতে থাকে নাটকীয় মোড়। অন্য তিন পরিচারকের উপর সন্দেহ যায়। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর সন্দেহ যায় তলোয়ার দম্পতির উপর। গতকাল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৪ ও ২০৩ ধারায় তালোয়ার দম্পতিকে আরুষি-হেমরাজ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় দন্তচিকিৎসক দম্পতিকে।
তদন্তের এই নিত্য নতুন মোড় ও বিতর্কের কারণেই এ দিনের রায় নিয়ে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে৷ সোমবার দুপুরে তলোয়ার দম্পতিতে দাষী সাব্যস্ত করা হলেও সাজা শোনায়নি আদালত। আজ দোষীদের যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়ে সেই যবণিকায় ইতি টালন আদালত। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান ছিল যে যে ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তলোয়ার দম্পতি তাতে ফাঁসির সাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ফাঁসি নয়, শেষপর্যন্ত যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিল আদালত। যদিও সিবিআই তলোয়ার দম্পতির মৃত্যদণ্ডের আর্জি জানিয়েছিল।