ধেয়ে আসছে প্রবল বন্যা! অসম-অরুণাচলে জারি সতর্কতা
অসম ও অরুণাচল প্রদেশে বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চিনের তরফে জানানো হয়, তিব্বতে ইয়ারলাং সাংপো নদীর একাংশ ধসের জেরে অবরুদ্ধ। সেখানে কৃত্রিম লেক তৈরি হয়েছে। লেক জলে পূর্ণ।
অসম
ও
অরুণাচল
প্রদেশে
বন্যার
সতর্কবার্তা
জারি
করা
হয়েছে।
চিনের
তরফে
জানানো
হয়,
তিব্বতে
ইয়ারলাং
সাংপো
নদীর
একাংশ
ধসের
জেরে
অবরুদ্ধ।
সেখানে
কৃত্রিম
লেক
তৈরি
হয়েছে।
লেক
জলে
পূর্ণ।
যা
ভেঙে
গেলেই
নিম্ন
অববাহিকায়
প্রবল
বন্যার
আশঙ্কা।
এই
নদীরই
শাখা
অরুণাচল
প্রদেশে
সিয়াং
এবং
অসমে
ব্রহ্মপুত্র
নামে
পরিচিত।
অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন, সিয়াং নদীর কাছাকাছি না যেতে সতর্তকা জারি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতেও অনুরোধ করা হয়েছে। ধসের কারণে সিয়াং নদীতে জলের প্রবাহ কমে গিয়েছে। এরপর লেক ভেঙে গেলেই নিম্ন অববাহিকায় প্রবল বন্যার আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের তরফেও কেন্দ্রকে বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে।
আইনসভার কংগ্রেস সদস্য নিনং এরিং বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছে চিঠি লিখে বিষয়টি নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা বলার দাবি করেছেন।
চিনের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইয়ারলাং সাংপো নদীতে কৃত্রিম লেক তৈরির জেরে প্রায় ছ-হাজার লোককে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অসম সরকারের তরফ থেকে আপার অসমের ডিব্রুগড়, ধেমাজি, লাখিমপুর, তিনসুকিয়ায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে কলকাতা ও ভুবনেশ্বর থেকে এনডিআরএফ টিমকে পাঠানো হয়েছে এলাকায়।
অরুণাচল প্রদেশ সরকার সূত্রে খবর, বেজিং-এর তরফ থেকে নতুন দিল্লিকে ইয়ারলাং সাংপো নদীতে কৃত্রিম লেক তৈরির কথা জানানো হয়েছে। ওই নদীর জলস্তর হঠাৎই যে বেড়ে গিয়েছে, তাও জানানো হয়েছে। শনিবার বিকেলের দিক থেকে ভারত-চিন সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত সিয়াং নদীতে জলপ্রবাহ বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় জল কমিশন অসম সরকারকে জানিয়েছে, চিন ভারত সরকারকে জানিয়েছে, সেখানে প্রতি ঘন্টায় ৮ মিলিয়ন কিউবিক মিটার অথবা প্রতি সেকেন্ডে ৮০ হাজার কিউবিক মিটার জল জমা হচ্ছে।
চিনের সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার সকাল থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রবল বৃষ্টি-সহ প্রাকৃতিক কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে।
তিব্বত থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তৈরি হওয়া কৃত্রিম হ্রদের দৈঘ্য ৩.৫ কিমি এবং প্রস্থে ২.৫ কিমি। তিব্বতের নেক্সিয়া জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে প্রায় ১৭ কিমি নিচে এই কৃত্রিম হ্রদ তৈরি হয়েছে।
সিয়াং নদীতে প্রবল বৃষ্টির কারণে এর আগেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গত অগাস্টে অসমের ধেমাজি জেলার বহু মানুষকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়েছিল।