অরুণা সানবওগের ধর্ষণকারী রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, অস্বীকার করেছে ধর্ষণের অভিযোগও
মুম্বই/গাজিয়াবাদ, ৩০ মে : মুম্বইয়ে অরুণা সানগওগের ধর্ষণকারী সোহনলাল বাল্মিকী হদিশ মিলেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে। যদিও একটি মহারাষ্ট্রের সংবাদপত্র 'সকাল'-এ সোহনলাল জানিয়েছে সে অরুণাকে ধর্ষণ করেনি। সেই দিন থেকে কিছুই তার মনে নেই। গাজিয়াবাদের কাছে হাপুর জেলার পারপা গ্রামে সোহনলাল পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছে। সকাল পত্রিকার সাংবাদিক তাঁর খোঁজ পেয়েছেন। [৪২ বছর কোমায় থাকার পর মৃত্যু হল মুম্বইয়ের ধর্ষিতা নার্স অরুণা সানবওগের]
ধর্ষণের পর ৪২ বছর কোমায় থাকার পর গত ১৮ মে মৃত্যু হয় মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের নার্স অরুণা সানবওগের। অরুণার কোমায় চলে যাওয়ার কারণ, তাঁর উপর শোহনলাল যেভাবে পাশবিক অত্যাচার চালায়, ধর্ষণ করে এবং কুকুরের চেন দিয়ে অরুণাকে এমনভাবে বাঁধে যাতে মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌছনো বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু সোহনলালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ বা যৌন হেনস্থার কোনও অভিযোগে অভিযুক্ত হয়নি। শুধুমাত্র খুনের চেষ্টা ও ডাকাতির দোষে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় সোহনলালকে। ৭ বছর পর ১৯৮০ সাল থেকেই মুক্ত সোহনলাল।
অরুণার মৃত্যুর পর কিছু সূত্র বলছিল ২০১১ সালেই হয়তো সোহনলালের মৃত্যু হয়েছে, আবার একাংশ মনে করছিল দিল্লিতে ফিরে এসেছে সে। মুম্বই পুলিশ শুক্রবার জানিয়েছে সোহনলালের বিরুদ্ধে অরণা সাহবওগের খুনের অভিযোগ আনার জন্য আইনি পরামর্শ নেওা হবে।
সোহনলালের বয়স এখন প্রায় ৭০ বছর। সে নিজে জানিয়েছে, সে কখনওই দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়নি। তাঁর দাবি এক দশকের উপর দৈনন্দিন মজুরির ভিত্তিতে একটি শক্তি উৎপাদন কেন্দ্রে কাজ করে। প্রত্যেকদিন সকাল ৩০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে কাজে যায় সে।
সোহনলাল জানিয়েছে, মাসে ৪০০০ টাকা রোজগার করে সে কিন্তু ৬ মাস অন্তর চোখের চিকিৎসায় ৫০০০ টাকা খরচ করতে হয় তাকে। এছাড়াও তাঁর রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে।
সকাল পত্রিকার সাংবাদিককে সোহনলাল বলে, ৪২ বছর আগেও তো এই নিয়ে খবর হয়েছিল কিন্তু তখনও তাতে ধর্ষণের উল্লেখ ছিল না। অরুণার মৃত্যুর খবর নিজের এক আত্মীয়র থেকে পেয়েছিল বলেও জানিয়েছিল সোহনলাল।
সোহনলালের ছেলেদের দাবি, তাদের বাবা এমন জঘন্য অপরাধ করতেই পারে না। অন্যদিকে সোহনলালের স্ত্রীয়ের দাবি, মুম্বই পুলিশের উপর এই মামলাটি শিগগিরই সমাধান করার জন্য চাপ ছিল। আর সেই কারণেই তাঁকে সামনে আনা হয়েছে।