'প্রিয়াঙ্কা মিথ ভেঙে গিয়েছে', ফের কংগ্রেসকে কড়া আক্রমণ জেটলির
জল্পনা থাকলেও বারাণসী কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে টিকিট দেননি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী।
জল্পনা থাকলেও বারাণসী কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে টিকিট দেননি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। তাঁর জায়গায় ২০১৪ সালে যিনি কংগ্রেসের হয়ে বারাণসী কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন সেই অজয় রায়কে ফের একবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নামানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কার বারাণসী কেন্দ্র থেকে না লড়ার কথা তুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন। একটি ব্লগে লিখেছেন জেটলি, যার শীর্ষক হল - 'রিফিউড ইন ওয়ানাড অ্যান্ড রিফিউজ আওয়ে ফ্রম বারাণসী - দ্য স্টোরি অব ফ্যামিলি ডাইন্যাস্টি - সেখানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বারাণসী থেকে মনোনয়ন না জমা করায় ঘুরিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন প্রিয়াঙ্কা দুমাস আগে পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন এবং তিনি কংগ্রেসকে বদলে দেবেন ভেবেছিলেন। তবে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে ভারত বদলে গিয়েছে। ভোটাররা আর পরিবারতন্ত্রকে মেনে নেবে না। জেটলি আরও বলেন যে, কংগ্রেস নেতারা এটা বিশ্বাস করতেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে প্রবেশ দলকে অনেকটা চাঙ্গা করবে। তবে সেই মিথও ভেঙে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রথমে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার, এবার পদ থেকে ইস্তফা কংগ্রেস নেতার]
জেটলির তোপ, এখন গোটা বিষয়টি সকলের কাছে স্পষ্ট প্রিয়াঙ্কা কোনভাবেই কংগ্রেসকে বদলে দিতে পারবেন না। কংগ্রেসের ভাগ্য বদলাতে পারবেন না। ফলে কংগ্রেসের এখন উচিত গত চার দশকে আমেঠিতে ও রায়বরেলিতে তাঁরা কী কাজ করেছেন সেই কাজের পর্যালোচনা করা। একইসঙ্গে এটা খেয়াল করা যে ২০১৪ সাল থেকে বারাণসী কেন্দ্রে গত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মোদী কীভাবে উন্নয়ন যজ্ঞ চালিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কাল ভৈরবের মন্দিরে পুজো দিয়ে আজ বারাণসীতে মনোনয়ন পেশ মোদীর, চড়ছে পারদ]
প্রসঙ্গত এদিন কংগ্রেস বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জায়গায় টিকিট দিয়েছে অজয় রাইকে। ২০১৪ সালে মাত্র ৭৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে তৃতীয় হন তিনি। সেখানে নরেন্দ্র মোদী পেয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৮০ হাজারের কিছু বেশি ভোট। বারাণসী কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন বর্তমানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।