অনুপ্রবেশ নিয়ে পাল্টা চাপ! সংসদে সরব হয়েছিলেন মমতাই, তা নিয়ে আলোচনা কবে, প্রশ্ন মোদীর দলের
লোকসভায় করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে কবে আলোচনা হবে? এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটে এমনই প্রশ্ন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
লোকসভায় করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে কবে আলোচনা হবে? এনআরসি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে টুইটে এমনই প্রশ্ন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০০৫-এর ৪ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় অনুপ্রবেশ ভয়ানক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান অভিযোগ
অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৪০ লক্ষ বাসিন্দার নাম। অসম থেকে বাঙালি খেদাওয়ের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি অসমে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
|
অনুপ্রবেশ নিয়ে হইচই করেছিলেন মমতাই, বললেন জেটলি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এরপর প্রতিক্রিয়া দিলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তুলে ধরলেন প্রায় ১৩ বছর আগে, ২০০৫ সালের ৪ অগাস্ট লোকসভায় করা তাঁরই একটি অভিযোগ। সেই সময় লোকসভায় করা অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলায় অনুপ্রবেশ ভয়ানক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর কাছে বাংলাদেশ ও ভারত দুদেশের ভোটার তালিকা আছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার। আর কেন্দ্রে বামদলগুলির মদতপুষ্ট কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউপিএ সরকার।
৪ অগাস্ট, ২০০৫-এ লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
লোকসভায় সেদিন তৃণমূলের তরফে একমাত্রা সাংসদ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি। স্পিকারের চেয়ারের দিকে এক তাড়া কাগজ ছুঁড়ে মেরেছিলেন। সেই সময় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে স্পিকারের আসনে ছিলেন চরণজিৎ সিং আটাওয়ালে। চাপ বজায় রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় পদত্যাগপত্রও পাঠিয়েছিলেন। যদিও স্পিকার সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি।
সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগটা চরণজিৎ সিং আটাওয়ালের বিরুদ্ধে ছিল না। ছিল সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ওপর। কেননা, তৎকালীন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি সেদিন লোকসভায় তোলার অনুমতি দেননি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকাতেও রয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন রাজ্য সরকারও নীরব বলে অভিযোগ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সেদিন লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আচরণের পরেই বাম, সমাজবাদী, বিএসপি এবং আরজেডির তরফে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়। আশ্চর্যজনকভাবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কংগ্রেসের আচরণ ছিল অনেকটাই নরম।
|
জেটলি তুলে ধরেছেন অসমের জনসংখ্যার বিন্যাসও
১৯৬১ থেকে ২০১১-র মধ্যে সংখ্যাগুরুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ২.৪ গুণ। অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ৩.৯ গুণ। বলেছেন জেটলি।
|
ভারতের সার্বভৌমত্ব খেলার নয়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাহুল গান্ধী ভারতের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা করছেন। কার্যত এমনটাও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি।