ভারত ভূখণ্ডে চীনের অনুপ্রবেশ সত্যি, জানালেন অরুণ জেটলি
বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বছর দু'বার চীনের সেনা ঢুকে পড়েছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) পেরিয়ে। একবার ৩০ এপ্রিল, অন্যবার ১৩ জুন। উত্তরাখণ্ডে এই ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ প্রথমবার যখন চীনারা ঢুকে পড়ে, তখন ভোটপর্ব চলছিল। দ্বিতীয়বার যখন আসে, তখন নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে গিয়েছে। অরুণ জেটলির যুক্তি, পাহাড়ি এলাকায় সব সময় বোঝা সম্ভব হয় না, কত দূর কোন দেশের সীমানা বিস্তৃত। তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়। এক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছিল বলে জানান তিনি। তবে, গোটা ব্যাপারটা লিখিত আকারে চীনকে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে, পাকিস্তান নয়, চীন হল ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে সবচেয়ে বড় বিপদ। তাই লাদাখ, উত্তরাখণ্ড এবং অরুণাচলপ্রদেশে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা দরকার। কারণ, ভারতের দিকে পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। রাস্তাঘাটের অবস্থা ততটা ভালো নয়। সেনাদের থাকার জায়গা নিয়েও বিস্তর সমস্যা রয়েছে। অথচ চীন আন্তর্জাতিক সীমানা পর্যন্ত ঝাঁ চকচকে রাস্তা বানিয়ে ফেলেছে। যদি কখনও যুদ্ধ বাধে, তা হলে চীনের পক্ষে সেটা সুবিধাজনক হবে। তাই নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত, চীন সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়া, এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল, পরিকাঠামোর ঘাটতি।