প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত, সৎ মানুষ, ভূয়সী প্রশংসা অরুণ জেটলির
অরুণ জেটলি লিখেছেন, "আমি বুঝতে পেরেছি যে, প্রধানমন্ত্রীর দু'টি গুণ রয়েছে। প্রথমত, যখন কোনও গম্ভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তখন বোঝা গিয়েছে ওঁর পাণ্ডিত্য। উনি মিতভাষী এবং মন্তব্য করার আগে উনি ভাবনাচিন্তা করেন। দ্বিতীয়ত, ওঁর ব্যক্তিগত সততা প্রশ্নাতীত। তবুও উনি নেতা হতে পারেননি। কেন নেতা হতে পারেননি, সেটাও পরিষ্কার। তিনি জানতেন যে, তাঁকে সীমিত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এবং সব বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দল এবং প্রথম পরিবারটিকে জানাতে হত। যখন জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আর্থিক সংস্কার থমকে গেল কিংবা সেই আপত্তিকর অর্ডিন্যান্স রাহুল গান্ধী ছিঁড়ে ফেলে দিলেন, তখন সবই তাঁকে মেনে নিতে হয়েছিল। তাঁর মতামতকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। কিছু মানুষকে অগ্রাহ্য করতে না পারার কারণে তাঁর কাজকর্ম বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। উনিই শেষ কথা বলার অধিকারী ছিলেন না। যখন জালিয়াতি ধরা পড়েছিল, তখনই যদি উঠে দাঁড়িয়ে কয়লা ব্লক বণ্টনের বিরোধিতা করতেন কিংবা আদালতের রায়ের অপেক্ষা না করে টু-জি লাইসেন্স বাতিল করতেন, তা হলে ইতিহাস তাঁকে অন্যভাবে মনে রাখত। নিজের দলের ভিতরে কথা বলতে না পারার কারণে ঐতিহাসিকরা হয়তো বাধ্য হবেন এই মানুষটি সম্পর্কে অন্য রকম দৃষ্টিভঙ্গি নিতে।"
অরুণ জেটলি তাঁর ব্লগে আরও লিখেছেন, "দশ বছর ধরে ভারত সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন যবনিকা পতনের সময় এগিয়ে আসছে। সম্মান নিয়েই তিনি প্রস্থান করবেন। দেশকে পথ দেখানোর ক্ষেত্রে তিনি একজন বরিষ্ঠ মহানায়ক ও বিশ্বস্ত মানুষের ভূমিকা পালন করবেন। আমি প্রধানমন্ত্রী সুস্বাস্থ্য কামনা করি এবং চাই উনি আরও অনেক বছর ধরে জনসেবা করুন। যদি তিনি নিজের আত্মজীবনী লেখেন, তা হলে আমি সেই অধ্যায়টা পড়তে উদগ্রীব থাকব যেখানে তিনি ১৯৯১-১৯৯৬ পর্বের কথাটা বর্ণনা করবেন।"