বাংলার বামেদের 'রোগ'-এ মধ্যপ্রদেশে কাবু বিজেপি, বেশ চাপে শিবরাজ সিং চৌহান
এবছর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যেকোনও দিকে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এবছর মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যেকোনও দিকে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। স্থানীয় ভোটারদের কথায়, এবার লড়াই সমানে-সমানে হবে। শেষ পর্যন্ত পাল্লা কোনদিকে ভারী হবে সেটাই দেখার। মধ্যপ্রদেশের ভোটাররা নাকি দুদিকে সমান বিভক্ত হয়ে রয়েছেন। তবে সেই বিভাজনেরও অন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ফ্যাক্টর নয় কংগ্রেস
সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফল একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। তাহলে কী করে সমান সমান লড়াইয়ে উঠে এল কংগ্রেস? কোন জাদুতে শিবরাজ সিং চৌহানের বিজেপির সরকারকে কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারা চ্যালেঞ্জে ফেলে দিলেন?
লড়াই অন্য জায়গায়
সাধারণ মানুষ বলছেন, এর পিছনে রয়েছে বিজেপির দীর্ঘদিন সরকারে থাকার ঔদ্ধত্য। ঠিক যে অবস্থা বাংলায় বামেদের হয়েছিল, মধ্যপ্রদেশে বিজেপিরও নাকি সিপিএমের রোগ হয়েছে। যার ফলে মানুষের মধ্যে অনেক ক্ষোভ জমেছে।
ব্যাপক উন্নয়ন বিজেপির
ভোটাররা জানিয়েছেন, সরকারে আসার পরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে বিজেপি। তবে তা সীমাবদ্ধ ছিল প্রথম কয়েক বছরই। কংগ্রেস আমলের জংলা, ভুতুড়ে জায়গা বিজেপি সংষ্কার করেছে, রাস্তাঘাট বানিয়েছে। তবে ১৫ বছরের শাসনকালে শেষ কয়েকবছরে বিজেপিকে ঔদ্ধত্য গ্রাস করেছে। কংগ্রেস আমলে দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের সরকার যেমন ঔদ্ধত্য ছিল, অনেকটা সেরকম ভাব হয়েছে বর্তমান বিজেপি সরকারের।
জমেছে ক্ষোভ
রাস্তাঘাটে এখনও বিরোধীদের নিয়ে আলোচনার চেয়েও বেশি চর্চা এই সরকার আগে কেমন ছিল আর এখন কেমন আচরণ করছে। বিধায়কদের আগে হাতের কাছে পাওয়া যেত। আর এখন সাধারণ মানুষ তাঁদের টিকি খুঁজে পান না। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তদের মধ্যে ক্ষোভ বড় বেশি হয়ে উঠেছে।
মোদী হতে পারেন পরিত্রাতা
মধ্যপ্রদেশে নরেন্দ্র মোদী বেশ জনপ্রিয়। তবে তাঁর সরকারের কাজ বিচারের চেয়েও রাজ্যের শিবরাজ সিং চৌহানের সরকারের কাজ বিচার করে মানুষ ভোট দিতে চাইছে। শেষ পাঁচ বছরে শিবরাজের সরকার কেমন কাজ করেছে, সব ভুলে মানুষ সেটা বিচার করতে বসেছে। শেষ কয়েকদিনে ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী ঝড় তুলে শেষ অবধি দুর্গ বাঁচাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। নাহলে চাপ রয়েছে, তা বেশ ভালোই বুঝতে পারছেন শিবরাজ সিং চৌহান।