JEE-Mains পরীক্ষায় ৮২০ জনকে প্রতারণায় সাহায্যের অভিযোগ, গ্রেফতার রুশ হ্যাকার
সিবিআই জানিয়েছে, জিইই-মেনইস পরীক্ষায় ৮২০ জনকে প্রতারণায় সাহায্য করেছিল রুশ হ্যাকার
৮২০ জন পরীক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রতারণায় সাহায্য করার অভিযোগে সিবিআই রুশ হ্যাকার মিখাইল শারগিলকে গ্রেফতার করেছে। গত বছরের JEE-Mains, IIT-এর মতো ভারতের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনলাইন সিস্টেমে কারসাজি করার অভিযোগ রয়েছে মিখাইল শারগিলের বিরুদ্ধে।
রুশ হ্যাকার মিখাইল শারগিলকে দিল্লি আদালতে মঙ্গলবার সিবিআই তোলে। অভিযুক্তের দুই দিনের সিবিআই হেফাজত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই তাদের তদন্তে জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৯ লক্ষের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। শুধুমাত্র নির্ধারিত কেন্দ্রগুলিতে নিয়ন্ত্রণ-সীমাবদ্ধ কম্পিউটারে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব ছিল। মিখাইল শারগিন সিস্টেমে হ্যাক করেছিলেন যাতে শিক্ষার্থীরা তার সহযোগীদের সঙ্গে দূর থেকে যোগাযোগ করতে পারে। তারপরে অন্য কোথাও কম্পিউটারে প্রশ্নপত্র সমাধান করা হয়েছিল। অর্থাৎ দূরে কেন্দ্রের বাইরে প্রতারকরা কম্পিউটারের অ্যাক্সেস পেয়েছিলেন। তাঁরা প্রশ্নপত্রের সমাধান করেছিলেন।
JEE-Mains, IIT-এর মতো ভারতের শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনলাইন সিস্টেমে কারসাজি করার অভিযোগ এখনও পর্যন্ত সিবিআই মোট ২৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। শারগিল ভারতে ছিলেন না। সোমবার কাজাখস্তান থেকে ভারতে প্রবেশের পরেই সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, শারগিল পেশাদার হ্যাকার। তাঁর বিরুদ্ধে আইলিওন সফ্টওয়্যারটি হ্যাক করার অভিযোগ রয়েছে। সফ্টওয়্যারটি টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল।
শারগিল
আদালতে
জানিয়েছে,
সিবিআইকে
তাঁর
উপস্থিতিতে
ইলেকট্রনিক্স
ডিভাইসগুলো
দেখতে
পারবেন।
অন্যদিকে,
সিবিআই
শারগিলকে
তাঁর
ইলেট্রনিক্স
ডিভাইসের
পাসওয়ার্ড
চাইলে,
তিনি
তা
দিতে
অস্বীকার
করেছেন।
সিবিআই
তদন্তে
জানা
গিয়েছে,
হরিয়ানার
সোনিপতের
একটি
পরীক্ষা
কেন্দ্র
থেকে
'রিমোট
অ্যাক্সেস'
দেওয়া
হয়েছিল।
এখনও
পর্যন্ত
২০জন
পরীক্ষার্থীর
বিরুদ্ধে
প্রতারণার
অভিযোগ
পাওয়া
গিয়েছে।
অভিযুক্তরা
আগামী
তিন
বছর
কোনও
পরীক্ষা
দিতে
পারবেন
না
বলে
শাস্তি
ঘোষণা
করেছে।
আদালতে
সিবিআই
জানিয়েছে,
এই
প্রতারণাতে
যতজন
শিক্ষার্থী
যু্ক্ত
ছিল
বলে
প্রাথমিকভাবে
অনুমান
করা
হয়েছিল,
তার
থেকে
অনেক
বেশি
পরিমাণ
পরীক্ষার্থী
এই
প্রতারণার
সঙ্গে
যুক্ত।
সিবিআই
দ্রুত
পরীক্ষার্থীদের
চিহ্নিত
করবে
বলে
জানিয়েছে।
সিবিআই ইতিমধ্যে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি শহরে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ ও অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। সিবিআই তদন্তের নামার পর থেকেই বার বার মিখাইল শারগিল নামটি উঠে আসছিল। তদন্তে জানা যায়, সম্পূর্ণ সিস্টেমটির হ্যাকিংয়ের নেপথ্যে রয়েছে এই রুশ নাগরিক। সিবিআই জানিয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে আরও বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক জড়িত।