সরকারি হোমে অন্যদের মনোরঞ্জন করছেন দেহব্যবসায় ধৃত অভিনেত্রী শ্বেতা
শ্বেতার ঘটনায় সম্প্রতি মুখ খুলেছেন তাঁর অনস্ক্রিন মা সাক্ষী তনওয়ার। তাঁর মিডিয়াকে দেওয়া তার খোলা চিঠিতেই একথা জানিয়েছেন সাক্ষী। এই খবরের কোনও সরকারি ভিত্তি না থাকলেও সাক্ষীর চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, "আমাদের মধ্যে কতজন জানি সরকারি হোমে মেয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই শ্বেতার আসল মায়ের। কতজন জানি যে শ্বেতার মামলার বিচারপতি শ্বেতার মাকে জানিয়েছেন যে সে হোমের অন্যান্য শিশু ও মহিলাদের সংগীত ও জীবনের গল্প বলে মনোরঞ্জন করছে"।
"এর পাশাপাশি সাক্ষী জানিয়েছেন, শ্বেতা মা এই ঘটনায় নিজেকে বঞ্চিত, মর্মাহত এবং পরাজিত মনে করছেন। তাঁর মনের অবস্থা বুঝতে পারছি।"
আরও পড়ুন : আমার মেয়েকে নিয়ে কুৎসা দয়া করে বন্ধ করুন: আকুতি ধৃত শ্বেতা বসুর মায়ের
আরও পড়ুন : দেহব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক অভিনেত্রী, পুলিশকে তথ্য দিল শ্বেতাই?
হায়দ্রাবাদের বাঞ্জারা হিলসের একটি হোটেল থেকে বহু হাই প্রোফাইল শিল্পপতিদরে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তেলুগু ছবির অভিনেত্রী ২৩ বছরের শ্বেতা বসু প্রসাদকে। শ্বেতা ও তাঁর দালাল বালুর নাম পুলিশ প্রকাশ করলেও সেইদিন গ্রেফতার হওয়া প্রভাবশালী শিল্পপতিদের নাম নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে পুলিশ মিডিয়া একত্রে। তবে এবার সেই সব নামগুলি শ্বেতা নিজেই প্রকাশ করবেন বলে খবরে জানা গিয়েছে।
দারিদ্রের ফলেই এই যৌন চক্রে জেনেবুঝে পা রাখা বলে আগেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন শ্বেতা। জানিয়েছিলেন, "সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার কাছে অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না। কিছু মানুষ আমাকে টাকা রোজগারের দম্য এই দেহব্যবসার জন্য উৎসাহ দেন। আমি অসহায় ছিলাম।"
মকড়ি ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা শিশুশিল্পীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন শ্বেতা। মকড়ি ছাড়াও নাগেশ কুক্কুনুরের ইকবাল ছবিতেও অসামান্য অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। কাহানি ঘর ঘর কি, করিশ্মা কা করিশ্মার মতো একাধিক ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।