করোনা লকডাউনে এবার 'ই-পাস' হয়ে উঠতে পারে আরোগ্য সেতু অ্যাপ
দেশে গত ২১ দিন ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন।
ভাইরাসের প্রকোপ রোখার উদ্দেশে চালু আরোগ্য সেতু
এদিকে কয়েকদিন আগেই করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রোখার উদ্দেশে চালু করা হয়েছিল আরোগ্য সেতু। জানা গিয়েছে এই লকডাউন চলার সময় এই অ্যাপই নাকি ইলেকট্রনিক পাস হিসেবে কাজ করবে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠকে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে তৈরি এই অ্যাপ
কেন্দ্রের চালু করা নতুন এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটিকে যে কী ভাবে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায় তা নিয়ে ভাবছে সরকার। প্রসঙ্গত, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুর কী ভাবে কনট্যাক্ট ট্রেসিং বা সংক্রমণের উৎস খোঁজার ক্ষেত্রে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে। মোদী সরকারও এই কাজটাই করার জন্য আনা হয় এই আরোগ্য সেতু অ্যাপটি। ভবিষ্যতে অ্যাপটি ই-পাসের কাজ করতে পারে। তাতে যাতায়াতে সুবিধে হবে। বলে দাবি কেন্দ্রের।
অ্যাপের মাধ্যমেই জানা যাবে করোনার ঝুঁকি
গুগল প্লে বা অ্যাপল স্টোর থেকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ স্মার্টফোনে ডাউনলোডের পরে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে রেজিস্টার করতে হয়। অ্যাপটিতে নিজের শারীরিক অবস্থা, সম্প্রতি বিদেশ সফর করেছেন কি না, কোনও অসুস্থতা রয়েছে কি না, ইত্যাদি তথ্য পূরণ করলেই জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা।
কী ভাবে কাজ করে এই অ্যাপ?
অ্যাপটি যাতে ঠিখঠাক কাজ করে তার জন্য, জিপিএস লোকেশন অন রাখতে হয়। ফলে অ্যাপ খুলেই জানা যাবে, আশেপাশে কত জন আরোগ্য সেতু ব্যবহারকারী রয়েছেন। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর দেওয়া তথ্য ও তাঁদের গতিবিধি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে নজরে রাখবে অ্যাপ। সংগৃহীত সেই তথ্যের মাধ্যমেই যে কেউ জানতে পারবেন, কোন এলাকায় গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। কিংবা কোভিডের উপসর্গ রয়েছে, এমন কারও সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন কি না।
কী ভাবে এই অ্যাপটিকে ই-পাস হিসেবে ব্যবহৃত করা হবে?
অবশ্য কী ভাবে এই অ্যাপটিকে ই-পাস হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, তা ভেঙে বলেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। এদিকে সরকারের আশ্বাস, প্রত্যেকের পরিচয় ও ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখা হবে। কর্তারা জানিয়েছেন, দেশে এই অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান করোনার মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করা হবে।