অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফতারিতে চাঞ্চল্যকর মোড়! সুপ্রিম নির্দেশে অস্বস্তিতে মহারাষ্ট্র সরকার
মুম্বই পুলিশের হাতে অর্ণব গোস্বামীর গ্রেফাতারিতে এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। রীতিমতো সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে এবার বেকায়দায় মহারাষ্ট্র সরকার। তবে যে মামলায় অর্ণবে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি ছাড়া একটি ভিন্ন কেসে মহারাষ্ট্র সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় শীর্ষ আদালতকে।

স্বাধীকারভঙ্গের নোটিশ প্রসঙ্গেই নতুন বিতর্ক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফের বিরুদ্ধে এর আগে স্বাধীকারভঙ্গের নোটিস এনেছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা। কিন্তু তা অনৈতিক ভাবে করা হয়েছিল বলেই মত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলা প্রসঙ্গে সংবাদ পরিবেশনের সময় মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ঘোরতর অভিযোগ তুলতে দেখা যায় এই বিজেপি ঘনিষ্ট সাংবাদিককে।

মহারাষ্ট্র বিধানসভার সচিবকে শো-কজ নোটিশ
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ও এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ার সম্পর্কে ‘অবমাননাকর' মন্তব্য করারও অভিযোগ ওঠে অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে। তারপরেই তাকে নোটিস দিয়েছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা। সূত্রের খবর, এই ঘটনার যথাযথ কারণ দর্শানোর জন্য ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার সচিবকে শো-কজ নোটিশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদে জোর শীর্ষ আদালতের
এমনকী আগামীতে এই ঘটনার রেশ ধরে স্বাধীকার ভঙ্গের অভিযোগ এনে আর অর্ণবকে গ্রেফতার করা যাবে বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। এই ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদের উপরেও বিশেষ জোর দেন বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রাহ্মণিয়ান। কোনও ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের সুরক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে বিশেষ অধিকার দেয় সংবিধানের এই ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ। পাশাপাশি আইনের অপব্যবহার করার জন্য কেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা যাবে সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন এই তিন সদস্যের বেঞ্চ।

১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে অর্ণব
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার অন্বয় নায়েক আর তাঁর মায়ের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ণবকে। অভিযোগ, অর্ণবের থেকে কয়েক কোটি টাকা পেতেন অন্বয়, যেটা অর্ণব মেটাননি। তাঁর আত্মহত্যার অন্যতম মূল কারণও এটাই। বর্তমানে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন এই সাংবাদিক। যদিও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকার পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটছে বলেও পাল্টা অভিযোগ করতে দেখা যায় অর্ণবকে। এমনকী এই ঘটনায় চিরাচরিত পদ্ধতি মেনে নোটিশ দিয়ে, ট্র্যায়ালের নিয়ম মেনে অর্ণবকে কেন ধরা হল না তা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন অংশ থেকে উঠছে প্রশ্ন।

আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতির তোষামোদ নয়, সাফ বার্তা সুপ্রিমকোর্টের