তুষারপাত নাথুলায়, আটক পর্যটকদের ৪৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে উদ্ধার মানবিক সেনার
পারদ নেমেই চলেছে। এক থেকে শূন্যের দিকে নামছে পারদ। আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুষারপাত চলছে উত্তরবঙ্গে। গোটা উত্তর ভারতজুড়েই তুষারের চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এলাকার পর এলাকা।
পারদ নেমেই চলেছে। এক থেকে শূন্যের দিকে নামছে পারদ। আর সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুষারপাত চলছে উত্তরবঙ্গে। গোটা উত্তর ভারতজুড়েই তুষারের চাদরে ঢেকে যাচ্ছে এলাকার পর এলাকা। আর এই নাগাড়ে তুষারপাতের জেরে নাথুলায় বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়লেন প্রায় আড়াই হাজার পর্যটক। সেনাবাহিনী তৎপর হয়ে উদ্ধার করল তাঁদের।
|
তুষারপাতে আটকে পর্যটকরা, উদ্ধারে সেনা
সিকিমের নাথুলায় প্রবল তুষারপাতের জেরে আটকে পড়েছিল প্রায় ৪০০ গাড়ি। ওই গাড়ির মধ্যে ছিলেন ২৫০০ পর্যটক। নাগাড়ে তুষারপাতের জন্য রাস্তা বন্ধ। এই অবস্থায় এগিয়ে এলেন সেনারা। তাঁরা নিজেদের বারাক ছেড়ে আশ্রয় দিলেন পর্যটকদের। শিশুদের মুখে তুলে দিলেন দুধ। ওষুধ, খাবারেরও বন্দোবস্ত করলেন তাঁরা। শীতে আড়ষ্ট পর্যটকদের গায়ে তুলে দিলেন কম্বল।
|
সেনা-বারাকে আশ্রয় পর্যটকদের
এরপরই সেনাবাহিনীর তরফে এক টুইট করে জানানো হয়, ২৫০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের সেনা বারাকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। কোনও চিন্তার কারণ নেই। সকলেই ভালো আছেন। সবাই যেমন খাবার পেয়েছেন, তেমনই শিশুরাও দুধ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়েছে।
৪৩১০ ফুট উচ্চতায় নাথুলায় উদ্ধারকার্য
শুক্রবারই তুষারপাত শুরু হয়েছিল নাথুলায়। শনিবার পর্যন্ত তা নাগাড়ে চলতে থাকে। এই আশঙ্কা করেই পর্যটকরা নামতে শুরু করেছিলেন সমতলে। পূর্ব সিকিমের ৪৩১০ ফুট উচ্চতায় নাথু লা ও ছাঙ্গু। সেখানেই আটকে পড়েছিলেন পর্যটকরা। না পারছিলেন নামতে, না পারছিলেন ফিরে যেতে। এই অবস্থায় দেবদূত হয়ে হাজির হলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
শেরটথাঙ্গ ক্যাম্পের সেনারা উদ্ধারকার্যে
শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁরা আটকে ছিলেন। এই খবর শেরটথাঙ্গ সেনা ক্যাম্পে পৌঁছনোর পরই সেনাবাহিনী উদ্ধারে নামেন। ৪০০ গাড়ি আড়াই শতাধিক পর্যটককে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যান তাঁরা। তাঁদের থাকা-খাওয়ারও সুবন্দোবস্ত করেন।