উত্তর পূর্বে নতুন পর্যটন স্থান বিকাশে ভারতীয় সেনা! ভারতের উদিত সূর্যের গ্রামকে ঘিরে পরিকল্পনা
পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এবার নামতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের একেবারে পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে আরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
পর্যটকদের আকর্ষণ করতে এবার নামতে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের একেবারে পূর্বের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে আরও বেশি পর্যটককে আকর্ষণ করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সেনাবাহিনী। দূরবর্তী এবং প্রচারের পিছনে থেকে যাওয়া স্থানগুলিকে সামনে নিয়ে আসতে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
যে রাজ্যে ভারতের প্রথম সূর্যোদয় হয়, সেটাই চিনের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ১৯৬২ সালে। এখনও এই রাজ্যে মাঝে মধ্যেই চিনের সেনার ঢুকে আসার খবর পাওয়া যায়। সেই রাজ্যের অনেক অংশই এখনও সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদের কাছে অনাবিষ্কৃত থেকে গিয়েছে।
অরুণাচলের ডং গ্রাম। যেখানে ভারতের প্রথম সুর্যোদয় হয়। গ্রামটির অবস্থান লোহিত নদের কাছে কিবিথু থেকে প্রায় ২০ কিমি দূরে। এই জায়গাটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠতে চলেছে প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্র। ভারতীয় সেনার তরফ থেকে চিন এবং মিয়ানমার সীমান্তের এই জায়গাটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লোহিত নদের ওপর রাফনিং-এর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এই জায়গাতেই বাস দেশের মিসমি এবং মেয়র উপজাতিদের।
ডং থেকে প্রায় সাত কিমি দূরে রয়েছে ওয়ালং। এখানে যুদ্ধের ইতিহাসও রয়েছে। এই জায়গাতেই ১৯৬২ সালে খুব কং সংখ্যক ভারতীয় সেনা, বহু সংখ্যক চিনের সেনাকে রুখে দিয়েছিল। যুদ্ধে মৃত ৪০০ ভারতীয় সেনার স্মৃতিতে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতি সৌধ।
ভারতের এই অংশে পর্যটনের আলোয় নিয়ে আসার জন্য ওয়ালং-এ শুধুমাত্র ই রিক্সাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তেজু থেকে ( কিবিথু থেকে প্রায় ২৫০ কিমি) হেলিকপ্টার সার্ভিস দেওয়ার ব্যাপারেও কথা চলছে।
তবে অরুণাচলের এই অংশে পৌঁছনোও খুব একটা সহজ নয়। তিনসুকিয়া পর্যন্ত ট্রেনে এসে কিংবা ডিব্রুগড় পর্যন্ত বিমানে এসে, ওয়ালং পৌঁছতে প্রায় দুদিন সময়ে লেগে যায়। প্রত্যন্ত এই জায়গায় মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। কোনও কোনও সময় তা অবশ্য পাওয়া যায়। তবে তা চিনের মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
সেনাবাহিনীর তরফে বলা হচ্ছে পরিস্থিতির রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট লক্ষের দিকে পৌঁছে যেতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। জানিয়েছএন নাম প্রকাশে অনিচ্ছাক এক সেনাকর্তা। যা সাধারণ মানুষের জীবনেও বড় পরিবর্তন আনবে।