For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে কি বেশি মানুষের মৃত্যু হবে দেশে?‌ কি বলছে বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ দেখে নিন

করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে কি বেশি মানুষের মৃত্যু হবে দেশে?

Google Oneindia Bengali News

যে কোনও মহামারির সঙ্গে যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হল এই রোগে মারা যানুষের সংখ্যা যতটা সম্ভব হ্রাস করা। করোনা ভাইরাস রোগের প্রকোপকে ভারতে কম করার জন্য প্রাথমিক লক্ষ্য হিসাবে সরকার বারবার এই চাপ দিয়েছিল। দেশে দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক করোনা কেসের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যদিও বর্তমানে প্রথন করোনার ওয়েভের চেয়ে অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এর অর্থ কী?‌ অনেকেই জানিয়েছেন যে লক্ষ্য করা গিয়েছে প্রথম ওয়েভের মতো দ্বিতীয় ওয়েভ অতটা বিপদজ্জনক নয়। তবে কোভিড–১৯ এর মৃত্যুর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকের গভীর পর্যালোচনা থেকে বোঝা যায় যে ভারতে মৃত্যুর আশঙ্কাজনক প্রবণতার জের থাকতে পারে।

প্রাথমিক মৃত্যুর হার

প্রাথমিক মৃত্যুর হার

সোমবার রাত পর্যন্ত দেশে মোট ১৩,৬৮৬,০২৪ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং কোভিড-১৯-এ মৃত্যু হয়েছে মোট ১৭১,১০৮ জনের। এটি দেশের কেস ফ্যাটাল্টি রেট (‌সিএফআর)‌ বা মৃত্যুর হারকে নিয়ে গিয়েছে ১.‌৩ শতাংশে। তবে, প্রকেপের প্রাথমিক মাসগুলিতে, বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা কার্যকর চিকিৎসাগুলি সঙ্কুচিত করতে সময় নিয়েছিল এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী হওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল বলে লোকেরা মারা যাচ্ছিল। যার ফল স্বরূপ ভারতের সিএফআর অবিচ্ছিন্নভাবে উন্নতি করছে, জুনের শেষে এটি গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩ শতাংশে এবং সেপ্টেম্বরে এটি নেমে আসে ১.‌৬ শতাংশে। এর ৬ মাস পরই দেশে ফের দ্বিতীয় ওয়েভ দেখা দেয়। এখন সবেমাত্র ১.‌১ শতাংশ মৃত্যুর হার রেকর্ড করা হয়েছে। এটি তুলনা করার ভালো একটি দিক। এট খুব সাম্প্রতিক এবং এটাই সময় করোনা কেসগুলিকে হ্রাস করার।

দ্বিতীয় ওয়েভে কি বেশি মানুষের মৃত্যু হবে?

দ্বিতীয় ওয়েভে কি বেশি মানুষের মৃত্যু হবে?

এই ১.‌১ শতাংশ সিএফআরের ভিত্তিকে ভারতে দ্বিতীয় ওয়েভের মৃত্যুর হারের সঙ্গে তুলনা করার সময় মানদণ্ড হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্বিতীয় তরঙ্গের মৃত্যুর হার কম হতে পারে কিনা তা দেখার জন্য এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ২০২০ সালে ১ অক্টোবর থেকে সাতদিনের গড় করোনা কেসের বিরুদ্ধে মৃত্যুর সাতদিনের গড় তুলনা করে দেখেছে তা ০.‌০১১:‌১ (‌অক্টোবরে সিএফআর ছিল ১.‌১ শতাংশ)‌। ১.১% সিএফআর থেকে যে কোনও বিচ্যুতি এই জাতীয় চার্টে দৃশ্যমান হবে, লক্ষ্য হ'ল দৈনিক কেসের ক্ষেত্রে প্রতিদিনের মৃত্যুর প্রতিনিধিত্বকারী লাইনটি নীচে রাখা। নিশ্চিত করে বলা যায় যে, এই বিশ্লেষণে ব্যবহৃত সমস্ত মৃত্যুর গণনা এবং সিএফআরে রিপোর্ট হওয়া এবং মৃত্যুর ঘটনাগুলির মধ্যে একটি ১৪ দিনের ব্যবধান ধরে নেওয়া হয়েছে। কারণ দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া সমীক্ষায় কারোর যদি করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে এবং তাঁর মৃত্যুর মধ্যে ব্যবধান ১৩.‌৮ দিনের। মার্চের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় ওয়েভে করোনার নতুন কেসগুলির সঙ্গেই মৃত্যুর হার প্রায় সমান ছিল। কিন্তু এরপর থেকেই বিষয়গুলি অন্যদিকে মোড় নিতে শুরু করে এবং তা খারাপের দিকে এগোতে থাকে। কেসের চেয়ে মৃত্যু দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করে।

দীর্ঘ বিরতির পর সিএফআরের ফের বৃদ্ধি

দীর্ঘ বিরতির পর সিএফআরের ফের বৃদ্ধি

চার মাসের ব্যবধানে ডিসেম্বরের শুরু থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সিএফআর ১ শতাংশের নীচেই ছিল। ঘটনাক্রমে, ১% চিহ্নটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ কেন্দ্র সরকার কর্তৃক কর্মকর্তারা বারবার জোর দিয়ে বলেছিলেন যে তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল কোভিড-১৯ এর জন্য দেশের সিএফআরকে ১% বা তার নীচে নিয়ে আসা, এমন একটি সংখ্যা যা এই দেশের জন্য চিত্তাকর্ষক। যদিও এই প্রবণতা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হওয়ার পরই সিএফআর ফের লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে দেয়। ২ সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু বেড়েছে, মার্চের ৮ তারিখে যেখানে ১.‌১ শতাংশ মানু আক্রান্ত হয়েছে, সেখানে মার্চের শেষে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এর পরের দুই সপ্তাহে, সিএফআর ছিল ১.২%, তারপরে, ২৯ মার্চ শেষ হওয়া সপ্তাহে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১.৩% মারা গিয়েছিলেন। যদি এই ১.‌৩ শতাংশের প্রবণতা ক্রমাগত চলতে থাকে, তবে ভারতে দৈনিক রেকর্ড সংখ্যক লোকের মৃত্যু হতে চলেছে। ৫ এপ্রিল সপ্তাহের শেষে ভারতে ৫৪৮,৬৯৮ ও ১২ এপ্রিলের সপ্তাহের শেষে ৯৩৭,৪২৮ করোনা কেস দেখা গিয়েছে। এর অর্থ হল ভারতে আসন্ন সপ্তাহগুলিতে প্রতিদিন ১,০১৯ জন এবং পরের সপ্তাহে ১,৭৪১ জন করে মানুষ মারা যেতে পারেন। প্রথম করোনা ওয়েভের সময়ও মৃত্যুর হার এত উচ্চ ছিল না।

 মৃত্যুর হার এত বেশি হওয়ার কারণ

মৃত্যুর হার এত বেশি হওয়ার কারণ

দেশে সক্রিয় করোনা কেসের সংখ্যা এর জন্য দায়ি। দেশে যত কোভিড পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়বে , স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ততই অবনতি হবে এবং দেশে মৃত্যু বাড়বে। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,২৬৪,৪৩০, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর অর্থ হল দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর করোনা কেসের অতিরিক্ত চাপ পড়ছে, যা কখনই দেখা যায়নি। এ ফলে সঠিক চিকিৎসার অভাবে অনেক রোগীই মারা যাচ্ছেন।

নির্বাচন শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে উত্তরপ্রদেশে মারাত্মক করোনা সংক্রমণ, নয়া রেকর্ড দৈনিক আক্রান্তের বিচারে নির্বাচন শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে উত্তরপ্রদেশে মারাত্মক করোনা সংক্রমণ, নয়া রেকর্ড দৈনিক আক্রান্তের বিচারে

English summary
are more people dying in indias second covid wave
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X