রাম সেতুর রহস্যভেদে আগ্রহী আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, শীঘ্রই শুরু সমুদ্রপথে গবেষণা
রাম সেতুর রহস্যভেদে আগ্রহী আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া, শীঘ্রই শুরু সমুদ্রপথে গবেষণা
জল্পনা-কল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে রাম সেতুর রহস্য ভেদ করতে উদ্যোগী হল ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, গোয়ার ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ওশানওগ্রাফির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাম সেতুর বয়স জানতে গবেষণা চালাবে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। এই ক্ষেত্রে থার্মোলুমিনেসন্সের পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও বিজেপি জমানার বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রকল্পটির ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গুরুত্ব যে সূদরপ্রসারী হতে চলেছে তা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন সকলেই।
একইসাথে তামিলনাড়ুর পাম্বান দ্বীপ আর শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের মধ্যে থাকা এই ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির বয়স জানতে রেডিওমেট্রিক কৌশল ব্যবহার করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিনই একথা জানান এনআইওর পরিচালক তথা অধ্যাপক সুনীল কুমার সিংহ। প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় ও রেজিওমেট্রেক পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করেই চলবে গোটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
বর্তমানে জলস্তরের ৩৫-৪০ মিটার নীচে রয়েছে এই ঐতিহাসিক সেতুটি। সেখান থেকে পলির নমুনা সহ একাধিক তথ্যে সংগ্রহের জন্য সিন্ধু সাধনা বা সিন্ধু সংকল্প জাহাজ ব্যবহার করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পুরণ মতে এই সেতুর সৃষ্টি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। সীতাকে অপরহণ করে বারণ যখন তাঁকে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল তখন এই পথেই বানর সেনা নিয়ে লঙ্কা পাড়ি দিয়েছিলেন ভগবান রাম। মূলত সমুদ্র পার হওয়ার জন্য পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই সেতুটি। যদিও পুরাণ ছাড়া এই ভাবনার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলেই জানা যায়।
বিজেপির ৭ সাংসদের 'তৃণমূল-যোগে'র বদলা! সরকার ফেলতে কৈলাশের হাতে বিধায়কদের তালিকা