বেসরকারি ক্ষেত্রে বেতনের হাল এবছর বেহাল, বলছে রিপোর্ট
দেশের আর্থিক দুরবস্থার একে একে পরত খুলছে। এবার প্রকাশ্যে এসেছে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতনের অবস্থা। সিএমআইএ-র দেওয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে এক কঠিন সত্য।
দেশের আর্থিক দুরবস্থার একে একে পরত খুলছে। এবার প্রকাশ্যে এসেছে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের বেতনের অবস্থা। সিএমআইএ-র দেওয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে এক কঠিন সত্য। আর্থিক মন্দায় কোপ পড়েছে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের বেতনে। গত এক দশকে যা হয়নি। এবার সেটা ঘটেছে। বেতন বৃদ্ধির যা অবস্থা তাতে বোঝাই যাচ্ছে সারা বছর কেমন চলবে।
সারা বছর হাড় ভাঙা খাটুনির পর কতটা বেতন বাড়ল তার দিকেই তাকিয়ে থাকেন বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীরা। কিন্তু এবারে একেবারেই নিরাশ হয়েছেন তাঁরা। অধিকাংশেরই বেতন বাড়েনি, যাঁদের বেড়েছে সেটা নাম মাত্র বলার মতো নয়। স্বাভাবিক ভাবেই কর্মোদ্যমে চরম আঘাত বলা চলে।
এই তথ্য তল্লাশিতে গিয়ে আরও একটি কঠিন সত্য প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সেটা কর্মসংস্থান। চলতি আর্থিক বর্ষে কর্মসংস্থানে ঘাটতি সর্বাধিক ৬.১ শতাংশ। ১৯৭৭-৭৮ অর্থবর্ষের পর এবারই প্রথম কর্মসংস্থানে এতো বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অথচ এই মোদী সরকারই গত লোকসভা ভোটের আগে বছরে ৫ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তার পরের দুরবস্থা বেসরকারি কর্মীদের বেতনে। নাম মাত্র বেতন বৃদ্ধি উল্টে কর্মী সংঙ্কোচনের চাপ এই নিয়েই চলতে হচ্ছে তাঁদের। এতোটাই খারাপ অবস্থা একাধিক বেসরকারি সংস্থার। এর অন্যতম কারণ দেশের আর্থিক দুরবস্থা। শেয়ার বাজারে প্রায় প্রতিদিনই ধস নামছে, টাকার দামের লাগাতার পতন। সব মিলিয়ে দেশের আর্থ সামাজি পরিবেশে প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে মোদী সরকারের আমলে। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর দাবি আগামী ৫ বছরে তিনি দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে নিয়ে যাবেন।