শুরু হচ্ছে টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায়! ভ্যাকসিন নিয়ে সাধারণ মানুষকে অভয় দিল বেসরকারি হাসপাতালগুলি
১ মে থেকে দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায়। এই পর্যায়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাবেন। কিন্তু কোন হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, আদৌ স্টক আছে কিনা তা নিয়ে সকাল থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছি
নয়াদিল্লি: আগামিকাল শনিবার অর্থাৎ ১ মে থেকে দেশ জুড়ে শুরু হচ্ছে টিকাকরণের তৃতীয় পর্যায়। এই পর্যায়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রত্যেকে ভ্যাকসিন পাবেন।
কিন্তু কোন হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, আদৌ স্টক আছে কিনা তা নিয়ে সকাল থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
এরই মধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে অ্যাপোলো, ম্যাক্স ও ফর্টিস জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের কাছে ভ্যাকসিন রয়েছে। অর্থাৎ শনিবার থেকে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণের করোনার ভ্যাকসিন দিতে পারবে তারা।
বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা টিকা মজুত না থাকায় ১৮ বছরের বেশি বয়সের টিকাকরণ কাল থেকে শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
অ্যাপোলোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশের কয়েকটি বাছাই করা সেন্টারে আপাতত ভ্যাকসিন দেবে তারা। কভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
হাসপাতালের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আপাতত কম পরিমাণ ভ্যাকসিন নিয়ে টিকাকরন প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে।
কর্পোরেট সেক্টরের জন্য বিশেষ টিকাকরন প্রক্রিয়া চালাবে তারা। ম্যাক্স হাসপাতাল জানিয়েছে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য টিকাকরনের জন্য প্রস্তুত তারা।
অন্যদিকে ফর হেলথকেয়ার জানিয়েছে উত্তর ভারত জুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে টিকাকরণ শুরু করবে তারা। তাদের টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে দেওয়া হবে কো ভ্যাকসিন, যার একটি ডোজের দাম ১২৫০ টাকা।
অন্যদিকে, প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই মিলবে ভ্যাকসিন। শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই কাজ।
কিন্তু বাংলাতে ভ্যাকসিনের আকাল। সরকারি তো বটেই, বেসরকারি বহু হাসপাতালেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না অনেকেই। যেমন সল্টলেক আমরিতে শুক্রবার সকাল থেকেই ভ্যাকসিনের আকাল তৈরি হয়েছে।
সেখানে নিয়ে ভ্যাকসিন। এমনটাই জানাচ্ছেন হাসপাতাল প্রশাসন। ভোর থেকে অপেক্ষার পর চূড়ান্ত হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একই ছবি শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও।
ভ্যাকসিনের আকাল খোদ বেলেঘাটা আইডিতেও। সেখানেও ভ্যাকসিন নেই বলেই খবর।
তাও কেউ মাঝ রাত তো কেউ আবার সকাল থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু তাতেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। কার্যত কলকাতা হোক কিংবা জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এখন এমনটাই ছবি।
তবে আতংকের বিষয় এই যে যেভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে ভিড় বাড়ছে তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা মারাত্মক। মানা হচ্ছে না কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্স।
এমনকি অনেকেই মাস্কও পড়ছেন না। এমনটাই অভিযোগ।